নিহত পুরোহিতের বাড়িতে গেলেন ভারতীয় দুই কর্মকর্তা

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীর বাড়িতে গিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনের দুই কর্মকর্তা। এই দুই কর্মকর্তা হলেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক ও তথ্য) রাজেশ উইকি ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (কনস্যুলার) রমা কান্ত গুপ্ত। সেখানে তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারটিকে সান্ত্বনা দেন। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে তারা ওই বাড়িতে যান। এ সময় ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) গোপীনাথ কাঞ্জিলাল, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বাবু কনক কান্তি দাস, ঝিনাইদহ জেলা সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার সমাদ্দার উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় দুই কর্মকর্তাকে কাছে পেয়ে নিহত আনন্দ গোপালের স্ত্রী শেফালী গাঙ্গুলী, মেয়ে মিনা গাঙ্গুলী, অর্চনা গাঙ্গুলীসহ পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। রাজেশ উইকি ও রমা কান্ত গুপ্ত তাদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন। তারা পরিবারটির সঙ্গে আছেন বলে জানান। একই সাথে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।  এ সময় ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তারা আশা করছেন দ্রুত হত্যাকারীরা গ্রেফতার হবে।

এদিকে পুরোহিত আনন্দ গোপাল হত্যার ২৭ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ মামলা ও তদন্ত সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করে হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের কৌশল ঠিক করছেন বলে জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের মহিষারভাগাড় এলাকায় আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আনন্দ গোপালের বাড়ি সদর উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামে। তিনি নলডাঙ্গা বাজারে একটি দুর্গামন্দিরের পুরোহিত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামে পূজা-অর্চনা করতেন।