নির্বাচন পরবর্তী সহিসংতায় ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের ১০ সমর্থকের বাড়িঘরে হামলা : ভাঙচুর ও লুটপাট : মহিলাদের মারধর

 

ঝিনাইদহ অফিস: নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ঝিনাইদহ পৌর এলাকার কালিকাপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের ১০ সমর্থকের দোকানপাট-বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুষ্কৃতীরা। এ সময় বাড়ির মহিলাদের হকিস্টিক দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয় থানায় অবহিত করা হলেও পুলিশ সহযোগিতার জন্য আসেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের হায়দার আলী, জব্বার আলী, শহিদুল ইসলাম, ফারুক হোনে, কনক কুমার, মিজানুর রহমান, বিপ্লব হোসেন, টিপু সুলতান, ইমামুল ইসলামসহ কয়েকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায় ৩০/৪০ জন দুর্বৃত্ত। তারা আসবাবপত্র, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, টিভি, ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর কালিকাপুর গ্রামের শতাধিক মানুষ ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ায় ঝিনাইদহ-২ আসনের নির্বাচিত স্বতন্ত্রপ্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির সমর্থকরা এ সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা সকলেই পরাজিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সফিকুল ইসলাম অপুর সমর্থক। আমেনা খাতুন নামে এক মহিলা বলেন, শুধু নৌকার ভোট দেয়ার কারণে হকিস্টিক দিয়ে ওরা আমাকে পিটিয়েছে। গুলি করতে চেয়েছে। ফাতেমা খাতুন নামে অপর এক মহিলা বলেন, বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে শোকেচের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ওরা। সোহান, রনি, জীবন ও তুষার নামে চার জনের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন বাড়িঘরে হামলা চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। বতর্মানে বাড়িঘরে থাকা মহিলারা আবারও হামলার আশঙ্কায় চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে এ সহিংসতার পর বোবা কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। চোখের নিমেষেই সাজানো সংসারে ভাঙচুর ও লুটপাটে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো। মানুষগুলো ভুলতে পারছে না তাণ্ডবের দৃশ্য।

জানতে চাইলে সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।