নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীকে শ্বাসরোধে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের এমএলএসএস পদে কর্মরত এক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মিজানুর রহমান পিন্টু (৪৫)। রোববার রাতে অজ্ঞাত হিসেবে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। সোমবার বিকেলে নিহতের স্বজনেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। নিহতের থুতনিতে জখম ও গলায় কালো দাগ ছিলো।

পুলিশ ও হাসপাতালসূত্র জানায়, গত রোববার রাত ১১টার দিকে সেগুনবাগিচার জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-র কার্যালয়ের পাশের গলিতে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালমর্গে পাঠায়। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে নিহতের ছোট ভাই মাসুদুর রহমান মিঠু মর্গে গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করেন। তিনি জানান, তার ভাই আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সূত্রাপুর থানা নির্বাচন অফিসের অধীনে এমএলএসএস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল সকালে তিনি অফিসে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অফিস থেকে বেরিয়ে শ্যামপুরের তিন নম্বর গলির ২৭৩ পূর্ব ধোলাইপাড়ের বাসায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রী নাজনীনের সাথে মোবাইলে তার কথা হয়। এ সময় তিনি গুলিস্তানের কাছাকাছি ছিলেন বলে মোবাইলফোনে জানিয়েছেন। মিঠু জানান, এরপর থেকেই তার ভাইয়ের মোবাইলফোন বন্ধ ছিলো। তার সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। সকালে তার ভাইয়ের স্ত্রী নাজনীন পল্টন থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৮৮) করেন। দুপুরে তারা খবর পান যে মর্গে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ রয়েছে। পরে মর্গে গিয়ে লাশটি তার ভাইয়ের বলে শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, তার ভাইয়ের বা তাদের পরিবারের কোনো শত্রু নেই। কারা তাকে হত্যা করতে পারে এ বিষয়ে ধারণা করতে পারছেন না। নিহতের ফিরোজ নামে এক সহকর্মী জানান, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা একসাথে অফিস থেকে বের হন। তিনি মিরপুরের বাসায় চলে যান আর পিন্টু শ্যামপুরের দিকে চলে যান। অফিসেও তার সাথে কারও কোনো বিরোধ ছিলো না। অফিসে সবার সাথেই তার ভালো সম্পর্ক ছিলো। স্বজনরা জানান, নিহত পিন্টু দু সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ে সাহারার বয়স ১০ বছর। ছেলে দীপ্তর বয়স সাত বছর। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে। রমনা থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম মিয়া জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজনীন রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।