নির্বাচনী ফলাফল : নিরঙ্কুশ বিজয় আওয়ামী লীগের

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় নির্বাচনে ফের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ ২৩৩ আসনে জয় পেয়েছে। এ নির্বাচনে মোট ৩০০টি আসনের মধ্যে গতকাল রোববার ১৪৭টি আসনের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ১৩৯টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ১০৬টি, জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১২টি আসন ও অন্যান্য দলগুলো পেয়েছে ২১টি আসন।

এদিকে দিনাজপুর-৪ ও বগুড়া-৭ আসনে ইতোমধ্যে ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের ১২৭ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ২৩৩টি আসনে জিতলো। ৩০০ আসনের সংসদে ১৫১ আসন পেলেই সরকার গঠন করা যায়। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলো। এবারও আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলো। বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনার মধ্যদিয়ে রোববার সারাদেশে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। বাকি ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে প্রার্থীরা। গতকাল ১৪৭টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। এরমধ্যে ১২০টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছেন। শরিক দলের জন্য ছেড়ে দেওয়ায় ২৭টিতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই।

গতকাল নির্বাচনে রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক নিয়ে এক লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৯ ভোট  পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (এরশাদ) নুর আলম লাঙ্গল প্রতীকে ৪ হাজার ৯৫৬ ভোট  পেয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৩৫। ১০৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্রের ফল স্থগিত হয়েছে। লালমনিরহাট-১ আসনে হেরে গেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৮২৭  ভোট। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহের হোসেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৩ ভোট  পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরান আহমদ ৬৩ হাজার ৩২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ফারুক আহমদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৭৪ ভোট। এ আসনে ভোট পড়ে ২৭ দশমিক ১৮ ভাগ। সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টির ইয়াহিয়া চৌধুরী ৪৮ হাজার ১৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহিবুর রহমান ১৭৩৮৯ ভোট পান। পাবনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মকবুল হোসেন ৯৮ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ১২৪৫০ ভোট। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল মজিদ মণ্ডল ৯২৭৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আতাউর রহমান রতন পেয়েছেন ৪২৪৮ ভোট। ভোলার ২টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। ভোলা-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এ আসনে ৯৮টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৭১ হাজার ৬৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট একেএম নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৬ ভোট। ভোট পড়েছে ৭১ ভাগ। এদিকে, ভোলা-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে এক লাখ ৫৭ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে মো. সালাউদ্দিন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬২ ভোট। এ আসনে ভোট পড়েছে ৬৬ ভাগ। কুমিল্লা-৮ আসনে জাপার নুরুল ইসলাম মিলন লাঙ্গল প্রতীকে ৫০ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এএসএম কামরুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে ১৭ হাজার ১০৬ ভোট পেয়েছেন। সিরাজগঞ্জ-৫ আওয়ামী লীগের আবদুল মজিদ মণ্ডল ৯২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র আতাউর রহমান পান ৪২৫৩ ভোট। ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগের বিএইচ হারুন ৮৮টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীকে ৮৮ হাজার ৪৩০ ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার প্রার্থী নাসির উদ্দীন লাঙ্গল প্রতীকে ৪ হাজার ৫১৩ ভোট পেয়েছেন। পিরোজপুর-৩ স্বতন্ত্র রুস্তম আলী ফারাজি ২৯ হাজার ৩৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন ২৫ হাজার ৪০৯ ভোট পেয়েছেন। কুড়িগ্রাম-১ জাপা প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান লাঙ্গল মার্কায় ৬৭ হাজার ৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হাই মাস্টার পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩১১ ভোট। জামালপুর-১: নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ ১১৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬৬ ভোট পান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ফারুক আজিজ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৬ ভোট। মেহেরপুর-২: স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন (ফুটবল) ৪৬ হাজার ৮৮৯ ভোট পান। আওয়ামী লীগের এমএ খালেক (নৌকা) ভোট পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৮৯। নাটোর ৩: আওয়ামী লীগের জুনাইদ আহমেদ পলক (নৌকা) ৮১ হাজার ৬৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওয়ার্কার্স পার্টির মিজানুর রহমান মিজান (হাতুড়ি) ১৩ হাজার ১ ভোট পান। ১১৮টি কেন্দ্রে  ভোটার সংখ্যা দু লাখ ৪৭ হাজার ১৯২ জন। কুষ্টিয়া-১: স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী (আনারস) ৬৪ হাজার ৪৪৪ ভোট পান। আওয়ামী লীগের আফাজ উদ্দিন আহমেদ (নৌকা) ৫২ হাজার ২২৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। বরগুনা-২: আওয়ামী লীগ প্রার্থী শওকত হাচানুর রহমান রিমন (নৌকা) ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আবুল হোসেন সিকদার (মোরগ) ১৬ হাজার ১২৯ ভোট পেয়েছেন। বগুড়া-৪: জাসদের রেজাউল করিম তানসেন (মশাল) ২২ হাজার ২০৩ ভোট পেয়ে জিতেছেন। অপর প্রার্থী নুরুল ইসলাম বাচ্চু (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৯ ভোট। ঢাকা-১: জাতীয় পার্টির অ্যাড. সালমা ইসলাম (লাঙ্গল) ৫৪ হাজার ৩৬ ভোট পেয়েছেন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাড. আব্দুল মান্নান খান পেয়েছেন ৪৮  হাজার ৩৩১ ভোট। ১৭৭ কেন্দ্রে মোট ভোট ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৮৮টি। ফেনী-৩: হাজী রহিম উল্যা (স্বতন্ত্র) ৫৭২৪৪ ভোট। জাপার আনোয়ারুল কবির (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১৫২২৬ ভোট। ময়মনসিংহ-৩: আওয়ামী লীগের মজিবুর রহমান ফকির ৪৪ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, নিকটতম স্বতন্ত্র নাজনীন আলম পান ১৫৩৭৩ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: জাপার জিয়াউল হক মৃধা ৩৭৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী এবং স্বতন্ত্র নায়ার কবির ৩০০৪৬ ভোট পেয়েছেন। চট্টগ্রাম-৪: আওয়ামী লীগের দিদারুল আলম ১৫৩০৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী এবং আ.ফ.ম মজিবুর রহমান (জাসদ) ৬৩১০ ভোট পান। চট্টগ্রাম-১২: আওয়ামী লীগের শামসুল হক চৌধুরী (নৌকা) ১ লাখ ২৮ হাজার ২১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী এবং জাপার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (লাঙ্গল) ১০১৯৭ ভোট পান। লালমনিরহাট-১: আওয়ামী লীগের মো. মোতাহার হোসেন (নৌকা) ১৭৯২৭৬ ভোট। জাসদের মো. সাদিকুল ইসলাম ৬৫৭২ ভোট। এছাড়া হুসেইন মু. এরশাদ পান ৫৭২৭ ভোট। সিলেট-২: জাপার ইয়াহইয়া চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে ৩৯ হাজার ৪শত ২৯  ভোট পান। স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান পেয়েছেন ৮ হাজার ৭শত ৯৯ ভোট। গাজীপুর-৪: আওয়ামী লীগের সিমিন হোসেন রিমি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ১২ হাজার ৮৮৭ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে এম এম আনোয়ার হোসেন ৭ হাজার ৮৩৩ ভোট পান। নাটোর ৩: আওয়ামী লীগের জুনাইদ আহমেদ পলক (নৌকা) ৮১ হাজার ৬৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওয়াকার্স পার্টির মিজানুর রহমান মিজান (হাতুড়ি) ১৩ হাজার ১ ভোট পান। ১১৮টি কেন্দ্রে  ভোটার সংখ্যা ২,৪৭,১৯২ জন। চট্টগ্রাম ২: তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি (নৌকা) ১লাখ ২৫ হাজার ৩৫১ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মাহমুদ হাসান ১২ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়েছেন। চট্টগ্রাম ৪: আওয়ামী লীগের দিদারুল আলম ১ ৫৩০৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী এবং আ.ফ.ম মজিবুর রহমান (জাসদ) ৬৩১০ ভোট পান। চট্টগ্রাম-১২: আওয়ামী লীগের শামসুল হক চৌধুরী (নৌকা) ১ লাখ ২৮ হাজার ২১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী এবং জাপার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (লাঙ্গল) ১০ ১৯৭ ভোট পান। কক্সবাজার-৪: আওয়ামী লীগের আবদুর রহমান বদি ১লাখ ৭ হাজার ৭২৮ ভোট এবং জাপার তাহা ইয়াহিয়া ৭৩১৬ ভোট পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-১: আওয়ামী লীগ মনোনীত গাজী গোলাম দস্তগীর ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৫০ ভোট পান। স্বতন্ত্র প্রার্থী শওকত আলী পান ৬ হাজার ৬৯৮ ভোট। এ আসনে ১০১টি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯০২৪। সুনামগঞ্জ-৩: আওয়ামী লীগের এম এ মান্নান ৫২ হাজার ১৯৫ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুস সামাদ ডন পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩৪৯ ভোট। নরসিংদী-২: স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান পোটন (দোয়াত কলম) ৩৮হাজার ১৭৩ ভোট পেয়েছেন। ১৪ দলের (নৌকা) জায়েদুল কবির  ২৭ হাজার ১৭৪ ভোট। বরগুনা-১: আওয়ামী লীগের ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ৮৫ হাজার ৩৭৮ ও সতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পান ৬৫হাজার ৪২৬ ভোট। দিনাজপুর-৬: আওয়ামী লীগ প্রার্থী শিবলী সাদিক ১২ হাজার ১২৭ ভোট ও নিকটতম ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী বিরেন্দ্রনাথ সরেন পেয়েছেন ১৭৪ ভোট। কুমিল্লা-১: আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুবিদ আলী ভূঁইয়া ৯০ হাজার ৩৭৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসান (কলসী) পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৭২ ভোট। কুমিল্লা-৩ সতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন (আনারস) ৭৮ হাজার ৬৪৬ ভোট এবং অপর স্বতন্ত্র আহসানুল আলম সরকার কিশোর (ফুটবল) পেয়েছেন ৫৬ ৩৩৬ ভোট। কুমিল্লা-৪: স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (হাতী) ৩২ ৮০৩ ভোট এবং জাপার ইকবাল হোসেন রাজু (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৮ ৫৩৬ ভোট। কুমিল্লা-৫: আওয়ামী লীগের আবদুল মতিন খসরু এমপি (নৌকা) ২লাখ ৬৯৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। জাপার সফিকুর রহমান (লাঙ্গল) পান ৮ হাজার ১৫৭ ভোট। কুমিল্লা-৬ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকম বাহাউদ্দিন (নৌকা) ৫৯ হাজার ২৫ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান (আনারস) পেয়েছেন ৩৮ ২৯৩ ভোট। কুমিল্লা-৮ আসনে জাপার নুরুল ইসলাম (মিলন) লাঙ্গল প্রতীকে ৫০ হাজার ৮১৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী এএসএম কামরুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে ১৭হাজার ১০৬ ভোট পেয়েছেন। কুমিল্লা-৯: আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী এবং জাপার প্রফেসর গোলাম মোস্তফা ১২ হাজার ১৯২ ভোট পান।