নাটোরে ট্রেনের টিকেট কাটা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩

 

স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরের লালপুরে ট্রেনের টিকেট কাটা নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন।লালপুর থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লালপুর উপজেলায় ঈশ্বরদী বাইপাস রেলস্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলটি রেল পুলিশের অধীন। আমরা তাদের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি।’ সংঘর্ষেতিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক মোমিনউদ্দিন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেলকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকেস্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে ট্রেনের আগাম টিকেট কাটা নিয়ে স্থানীয়ডহরশোলা গ্রামের চা বিক্রেতা মোতালেব হোসেনের সাথে ঈশ্বরদী লোকোশেড এলাকারআব্দুর রাজ্জাক ও হাফিজুল ইসলামদের হাতাহাতি হয়। এ সময় আব্দুর রাজ্জাক আহতহন।এ খবর পেয়ে সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজ্জাকের সমর্থকরা ধারালোঅস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে স্টেশন এলাকায় এসে স্থানীয় লোকজনের ওপর হামলাচালায়।এ সময় সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে এবং অন্তত ১৩ জন আহত হন।খবরপেয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ ও লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারাআহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকেনিয়ে যায়।হাসপাতালে নেয়ার পথেই ডহরশোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকেরছেলে জীবন হোসেনের (২৮) মৃত্যু হয়। আর ভর্তি করার পর মারা যান একই গ্রামেরমোতালেব হোসেনের ছেলে রানা হোসেন (২৫)।রানার মামা জুলমত হোসেনকে (২৬) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় তিনিও মারা যান। ঈশ্বরদীউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোমিন উদ্দিন বলেন, ‘ধারালো অস্ত্র ওমাথায় লাঠির আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’ আহত অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঘটনারপ্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হান্নান বলেন, ‘টিকেটকাটার লাইনে দাঁড়ানোর সময় চা বিক্রেতা মোতালেব হোসেনের সাথে ধাক্কা লাগানিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। পরে শহর থেকে মাস্তানরা এসে খুন-খারাবির ঘটনাঘটায়। ওই সময় স্টেশনে পুলিশ ছিলো না।’ লালপুর থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার বলেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’