নকল সোনার মূর্তিসহ আব্দুল হক আটক : মূল হোতা সাত্তার পালিয়েছে

জীবননগরের ধান্যখোলা ও সুবলপুরে প্রশাসন ও এনএসআইয়ের যৌথ অভিযান

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার সুবলপুরের জ্বোলো সাত্তার ও ধান্যখোলা গ্রামের আব্দুল হক দীর্ঘদিন ধরে নকল সোনার মূর্তি নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলো। এ প্রতারক দলের খপ্পরে পড়ে অনেকে অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে গেছে। অন্যদিকে তারা অর্থ লুটে গড়েছে বাড়ি ও সম্পদ। তাদের এ প্রতারণার ব্যবসা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই যৌথ অভিযান চালিয়ে ধান্যখোলা থেকে প্রতারক আব্দুল হককে আটক ও মূলহোতা সুবলপুরের জ্বোলো সাত্তারের বাড়ি থেকে নকল একটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়। এসময় জ্বোলো সাত্তার পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নবীয়াবাদের সারডা সোসাইটি নামক একটি সংগঠন প্রতারণা ও মূর্তি পাচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে। সংগঠনটি খবর পায় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে একটি প্রতারক দল দীর্ঘদিন ধরে সোনার মূর্তির নামে প্রতারণা করে আসছে। তাদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অনেকে ইতোমধ্যে নিঃস্ব হয়ে গেছে। সংস্থাটির দেয়া তথ্য মতে গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন ও গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক জাফর ইকবাল উপজেলার সুবলপুর ও ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে সুবলপুর গ্রামের মীর বদর উদ্দিনের ছেলে প্রতারক দলের হোতা আব্দুস সাত্তার ওরফে জ্বোলো সাত্তারের বাড়ি থেকে একটি সোনার মূর্তি উদ্ধার করা হয়। এসময় সাত্তার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। দলটি এসময় ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে চাঁদ আলী শেখের ছেলে প্রতারক দলের সদস্য আব্দুল হককে আটক করে। উদ্ধারকৃত সোনার মূর্তিটি পরীক্ষা করে দেখা যায় এটি ব্রঞ্জের তৈরি। ওপরে সোনার প্রলেপ দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছিলো। আটক আব্দুল হককে জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, প্রতারক এ দলটি দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতারণার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সোনার মূর্তি বিক্রির নামে কৌশলে তারা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাদেরকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। প্রতারক এ দলটি দীর্ঘদিন প্রতারণার মাধ্যমে বাড়ি ও সম্পদ গড়েছে বলে জানা গেছে।