ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ : রাজধানীজুড়ে ককটেল আতঙ্ক

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল : চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির মিছিলে পুলিশি বাধা

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ৮৪ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার অনেকটাই ছিলো নিরুত্তাপ। তবে কয়েক জেলা ও উপজেলায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিলেট, রাজবাড়ী, চাঁদপুর, খুলনার ডুমুরিয়া, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হরতাল সমর্থক-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এ সময় ৩০ জনকে আটক করে পুলিশ। পাবনার ঈশ্বরদীতে হরতাল সমর্থক দু গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া বরিশাল, বগুড়া, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, দিনাজপুর, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁ, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। আজ ৩য় দিন। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে জোরালো পিকেটিঙে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিলো। বাস-ট্রাক চলেনি। তবে করিমন নসিমন ও অটো রিকশা চলেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিসহ একাধিক অংশ জোরালো পিকেটিং করে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুরে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

ঢাকা অফিস জানিয়েছে, হরতাল চলাকালে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরিত হলেও কেউ হতাহত হয়নি। অন্যান্য হরতালের তুলনায় বেশি সংখ্যক যানবাহন চলাচল করে। বেশিরভাগ দোকানপাট খোলা ছিলো। সচিবালয়সহ অধিকাংশ অফিস-আদালতে হাজিরা ও কার্যক্রম ছিলো প্রায় স্বাভাবিক। হরতাল আহ্বানকারী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজপথে দেখা যায়নি। হরতাল সমর্থনে পিকেটিংকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। হরতাল চলাকালে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় হরতাল সমর্থকরা। রাত পৌনে ৮টার দিকে ফকিরাপুলে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে শিবির কর্মীরা। মিছিল থেকে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক পর্যায়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে রাজধানীর তোপখানা রোড থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত ঝটিকা মিছিল বের করে শিবির কর্মীরা। এ সময় সচিবালয় লক্ষ্য করে পরপর ৩টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। সকালে বিএনপির ৫ মহিলা এমপি সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার পাশে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে। এ সময় তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তার দিকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। হরতালের সমর্থনে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সমাবেশ থেকে বিএনপির গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন এমপি। সমাবেশ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবীর বাসায় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে তল্লাশির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৮৪ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিনে হরতালের সমর্থনে এক পিকেটিং মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহীদ হাসান চত্বরের দিকে যাওয়ার সময় আলী হোসেন সুপার মার্কেটের সামনে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। মিছিলটি পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম জেনারেল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপিরর যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, যুগ্মসম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার, যুগ্মআহ্বায়ক রাজীব খান, যুবদল সদস্য আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মখলেছুজ্জামান মখলেছ, ইমরুল হাসান জোয়ার্দ্দার মুকুল, ফারুক মল্লিক, আতিয়ার রহমান লিটন, এমএ সাঈদ, প্রভাষক আতিয়ার রহমান, আসাদুজ্জামান আসাদ, স্বাধীন অধিকারী, শহীদ হোসেন লাড্ডু, বাদশা শেখ, শাহনেওয়াজ কালু, আহসান হাবীব মুক্তি প্রমুখ।

এদিকে হরতালের সমর্থনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি সকাল ১০টায় কোর্ট মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেদারগঞ্জস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মনি। বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে চট্রগ্রাম জেলা বড় আওলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান বাপ্পিকে হত্যা ও সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের অহেতুক হরতালের প্রতিবাদে হরতাল বিরোধী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। কেদারগঞ্জ নতুন বাজার থেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফ হোসেন দুদুর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফ হোসেন দুদুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনয়ির সহসভাপতি আলী আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্মসম্পাদক হাবিবুর রহমান লাবলু, যুব ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শফি, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব আহাম্মেদ, ৮ নং সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী, জেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, অ্যাড. ফিরোজ আহম্মেদ, জেলা যুবলীগের সদস্য রাজ্জাক, মিলন, সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লাল্টু, সাবেক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিপব, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান কালু, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শরিফ উদ্দিন, মেহেদি, যুগ্মসম্পাদক ফরিদ হোসেন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মতি, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা বুলবুল, বুলন, শিমু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ফরিদ আহম্মেদ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদ, সাধারণ সম্পাদক স্বজল, সদর থানা ছাত্রলীগরে সভাপতি জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জানিফ প্রমুখ।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে বেলা ১১টার দিকে কোর্টমোড়স্থ দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি কোর্ট ট্রাফিক মোড়ে পৌঁছুলে পুলিশের বাধায় পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আইনুর হক পচার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম ওহিদ, জেলা কৃষকদলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজী, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আফতার উদ্দিন পিন্টু, আলমডাঙ্গা থানা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাবু, তৃণমূল দলের আহ্বায়ক শামিম আল মামুন প্রিন্স, যুগ্মআহ্বায়ক আশরাফুল আলম প্রমুখ।

বদরগঞ্জ ব্যুরো জানিয়েছে, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৮৪ ঘণ্টা হরতালের প্রতিবাদে বদরগঞ্জ এলাকায় আ.লীগ মহাজোট বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বদরগঞ্জ শাখা আ.লীগের উদ্যোগে হরতালবিরোধী মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের বদরগঞ্জ আখসেন্টার হয়ে ঝিনাইদহ জেলা সীমান্তবোড়াই প্রদর্শন শেষে বদরগঞ্জ পানপ্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আ.লীগের সদস্য মো. শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, কুতুবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ সরদার, আ.লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, মতিয়ার রহমান, আশিফ রহমান, হায়দার আলী, এলাহী, আজাদ রহমান, রফিকুল ইসলাম, উচমান গনি প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, হরতালের নামে বিরোধী দলের নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুরসহ নাশকতা সৃষ্টি করার কোনো ঘটনা দেখে বদরগঞ্জ আ.লীগ নেতারা বসে থাকবে না, শক্ত হাতে প্রতিহত করবে। বিএনপি জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যের প্রতিহত করার জন্য আ.লীগ নেতাকর্মীরা আহ্বান জানায়।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহে হরতাল বিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। ১৮ দলের ডাকা টানা ৮৪ ঘন্টা হরতালের প্রতিবাদে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে হরতালবিরোধী মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিকলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়। দেন। মিছিল থেকে হরতাল বিরোধী নানা শ্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ, আব্দুল খালেক, আক্কাস আলী, গোলাম সরোয়ার সউদ, লিয়াকত আলী, জীবন কুমার বিশ্বাস, অশোক ধর, আসাদুজ্জামান, নজরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম, বিশ্বজিত সাহা মিথুন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, হরতালের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে সস্ত্রাস, নৈরাজ্য, বোমা ও ককটেল ফাটিয়ে আতংঙ্ক সৃষ্টি করছেন। দেশের শান্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন বিনষ্ট করার এ হরতাল জনগণ চায় না। আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিএনপি প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টাই করছে বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এ ধরনের তান্ডব সৃষ্টি করে কোন লাভ হবে না।

ঝিনাইদহ অফিস আরও জানিয়েছে, হরতালে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান খান দিপুকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

শৈলকুপা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ১৮ দলের ডাকা হরতালে বিএনপি নেতা রাকিবুল হাসান খান দিপুর নির্দেশে গাড়ি ভাঙচুরসহ নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। এদিকে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দমন পীড়ণের অংশ হিসেবে এ বিএনপিকে নেতাকে আটক করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে আটক বিএনপি নেতা রাকিবুল হাসান খান দিপুর মুক্তি দাবি করেন।

এদিকে ঝিনাইদহ পৌর যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক সবুজ হোসেনসহ ৭ বিএনপি নেতাকর্মীকে গতকাল সোমবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হরতালে দোকানপাট ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় সদর, হরিণাকুণ্ডু ও শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।  পুলিশ জানায়, হরতালের ২য় দিনে ছাত্রদলকর্মীরা শহরের হামদহ এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ মিছিল থেকে পৌর যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক সবুজ হোসেন, বিএনপিকর্মী চাঁদ মিয়া ও সুরুজকে গ্রেফতার করে। হরতালের প্রথম দিনে জেলার শৈলকুপা উপজেলায় যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে করা মামলায় পুলিশ রাতে ৩ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো সম্রাট, সোহেল এবং কিবরিয়া।

এদিকে হরতালের দ্বিতীয় দিনে অধিকাংশ দোকান-পাট বন্ধ থাকে। দূরপাল্লাসহ স্থানীয় কোনো রুটে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। ভোর থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে হরতাল সমর্থিতরা খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল বের করে। শহরের আরাপপুর, পবহাটি ও হামদহ এলাকায় ধাওয়া করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

অপরদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১৮ দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার সকালে কালীগঞ্জ থানার এসআই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। কালীগঞ্জ থানার ওসি মনির উদ্দিন মোল্লা জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় জেলার মহেশপুর উপজেলা শহর থেকে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে একটি পিকআপভ্যান ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে ফিরছিলো। পথিমধ্যে পুলিশ ভ্যানটি কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছুলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হরতাল সমর্থিতরা তাতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা গাড়ির গ্লাস ভাঙচুরসহ ক্ষতি সাধন করে।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল আলমডাঙ্গায় বিএনপির দু গ্রুপই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। অহিদুল গ্রুপের নেতাকর্মীরা সকাল ৯টার দিকে দলীয় অফিস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে দলীয় অফিসে ফিরে সমাবেশে মিলিত হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সহসভাপতি পৌর মেয়র মীর মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন লাড্ডু, হাজি আমজাদ হোসেন, জামায়াত নেতা ডা. আহম্মেদ জালাল, পৌর সভাপতি আব্দুল জলিল, নায়েবে আমির নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন সিদ্দিকী, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর ইসমাইল। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান বকুল, আব্দুর রাজ্জাক কমিশনার, মোশাররফ হোসেন, আয়ুব হোসেন, মহাবুল মেম্বার, মীর উজ্জ্বল, শাহ আলম, রফিকুল ইসলাম, জামায়াত নেতা তরিকুল ইসলাম, ফরহাদ, মনির, সেলিম, রাজু, ফারুক, মুন, হাজি আব্দুল খালেক, ঝন্টু মালিতা, রেজাউল, এনামুল, সুজন, শমসের প্রমুখ।

সন্ধ্যায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে এ গ্রুপের বিএনপির নেতৃবৃন্দ। মরহুম সংসদ সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাও. ওমর ফারুক।

অন্যদিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির দুদু গ্রুপ বিকেলে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। পরে হলুদপট্টি মোড়ে সমাবেশ করে। উপজেলা সংগ্রাম কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান দারুস সালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ সাইফুল ইসলাম। সংগ্রাম কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল জব্বার, বিল্লাল হোসেন, পৌর সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এমদাদুল হক ডাবু, মহিনুল ইসলাম, রেজাউল করীম, চমক, শরিফ, যুবদল নেতা মিল্টন মল্লিক, মাগরিবুর রহমান, অহিদুল ইসলাম বাবু, গোলাম হোসেন, ফারুক হোসেন, মামুনুর রশিদ, মঞ্জুরুল জাহিদ, বোরহান, মাসুম, মামুন, ছাত্রদল নেতা তৌফিক খান, লিমন, ডালিম, শওকত, বাপ্পি, উজ্জ্বল, মামুন, রুবেল, খাইরুল প্রমুখ।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো আরও জানিয়েছে, ১৮ দলের হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গায় পৌর জাসদের উদ্যোগে শহরে মশাল মিছিল বের করা হয়। উপজেলা জাসদের সাবেক সভাপতি গোলাম সরোয়ারের নেতৃত্বে মশাল মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চচত্বরে সমাবেশ করে। বক্তব্য রাখেন জাসদ নেতা নজরুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান মাস্টার, মিরাজুল ইসলাম, ডালিম হোসেন, আবু শামা, মাহাবুবুল ইসলাম, আখের আলী, জহুরুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, মিলন, আজম আলী, মানোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে হরতালের প্রতিবাদে গতকাল আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল মহড়া ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ চত্বর থেকে মোটরসাইকেল মহড়া বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে পূণরায় কলেজ চত্বরে ফিরে সমাবেশ করে। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহমেদ ডন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি তাফসির আহমেদ লাল, পৌর সভাপতি নয়ন সরকার, সাবেক আহ্বায়ক শাহীন রেজা শাহীন, সাইফুর রহমান পিন্টু, মিজানুর রহমান, জাইদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন তমাল, বাদশা, রমজান, রানা, চন্দন, মুকুট, মিলন, সুমন, দিগন্ত, মুন্না, তজবির, সাহাবুদ্দিন, জুবায়ের, সৈকত, শরিফ, সোভন, সাকিল, অপু, শাওন প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, হরতালের ২য় দিনে মেহেরপুরের ৩টি সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে সদর উপজেলার রাজনগর নামকস্থানে জামায়াতের নারীকর্মীরা কিছুক্ষণের জন্য মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক অবোরধ করে রাখে। পরে রাজনগর বাজার থেকে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি এআরবি কলেজের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর বাজার, মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের বন্দর ও গৌরিনগর মোড়ের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে হরতাল সমর্থনকারীরা। রাজনগরের এআরবি কলেজের সামনে একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ হরতাল পালনকারীরা।

এদিকে হরতালে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করলেও জেলা শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

মেহেরপুর অফিস আরও জানিয়েছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে পুলিশের কাজে বাধা দেয়াসহ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন মামলায় মেহেরপুরের বিএনপি ও অংগ সংগঠনের আটক ৪ নেতাকে শন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। গতকাল সোমবার মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ আটক মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক আনছার-উল হক, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক প্রভাষক ফয়েজ মহাম্মদ, জাতীয়তাবাদী তরুণদলের জেলা আহ্বায়ক কাজি মিজান মেনন ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টুকে আদালতে সোপর্দ করে। গতকাল তাদের জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে পুলিশের কাজে বাধা দেয়াসহ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে মামলায় (নং-১৪, তাং-১৩/০৮/১৩) আটক নেতাদের শনঅ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর শহরের শাহাজীপাড়াস্থ কার্যালয় থেকে গত রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আনছার-উল হকের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বড়বাজারে দিকে যাচ্ছিলো। বড়বাজার জনতা ব্যাংকের সামনে পৌঁছুলে মেহেরপুর সদর থানার ওসি রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মিছিল ছত্রভঙ্গ করে ওই চার নেতাকে গ্রেফতার করে থানায় নেয়।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর মুজিবনগর সড়কে মুজিবনগর উপজেলা দারিয়াপুর ইউনিয়নে পুরন্দরপুর গ্রাম নামক স্থানে সকাল ৬টায় সড়ক অবরোধ করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। ঘণ্টাব্যাপি বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আলহাজ মো. সিদ্দিকুর রহমান। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মশিউর রহমান, সেক্রেটারি খান জাহান আলী, জামায়াত নেতা তৌফিক মোল্লা, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোকলেছুর রহমান, সেক্রেটারি আব্দুল হালিম প্রমুখ।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুরের গাংনী শহরে হরতালবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গাংনী বাসস্ট্যান্ড রেজাউল চত্বর থেকে সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে মিছিলটি শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেছুর রহমান মকুল, আওয়ামী লীগ নেতা গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা মমতাজ কাকলী, উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসম্পাদক নাজমুল হুদা, জেলা আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক সোহেল আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক মজিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা হাজি মহাসিন আলী, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজামান ডাবু, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সহসভাপতি ইয়াছিন রেজা, ধানখোলা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজামান বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক আব্দুল আলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর, বঙ্গবন্ধু স্মৃতিক্লাবের সভাপতি আকাশ, সম্পাদক মিলন, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মানিক সাধু প্রমুখ। হরতালবিরোধী মিছিল থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। এদিকে হরতালের কারণে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে।