দোকানির সাথে বচসা মারধর : আটকের পর আপসেও হুঙ্কার!

চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার পুরাতন গলিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে বাধা

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাজারের মধ্যে যখন বাইসাইকেল চালানোও দণ্ডনীয় অপরাধ, তখন মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে বালুগাদায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দোকানির ওপর চড়াও হয়ে ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছে ২০ বছরের মাহাফুজ ওরফে মিশা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। তাকে গ্রেফতারের সময় আশ্রয়দাতা মুক্তিপাড়ার আকবরও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পৃথক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

বাজারের মধ্যে, স্টেশনের প্লাটফর্মসহ ফুটপাথে বাইসাইকেল দুরাস্ত মোটরসাইকেল চালানোর আইনগত বৈধতা না থাকলেও হরহামেশায় তা চালানো হয়। আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে অনেকেই বিষয়টিকে আমলেই নেন না। ফলে বাজারের মধ্যে বেপরোয়াগতিতেই শুধু নয়, উচ্চশব্দে হর্ন বাজিয়ে অনেকেই মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে থাকেন। এদেরই একজন মাহাফুজ ওরফে মিসা। সে চুয়াডাঙ্গা কলেজপাড়ার মৃত মেহের হকের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার পুরাতন গলির ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মিসাসহ দুজন একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে পুরাতন গলির মধ্যে প্রবেশ করে। গলির মুখেই সওদাগর ক্লথস্টোরের সামনে বালু গাঁদায় মোটরসাইকেল আটকে গেলে মিসাসহ তার সাথে থাকা যুবক আপত্তিকর উক্তি আওড়াতে থাকে। সওদাগর স্টোরের মিলন প্রতিবাদ করলে তার ওপর চড়াও হয়। উত্তেজনা দানা বাধে। মারধর করে। এর একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নালিশ করেন। দুপুরে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুক্তিপাড়ার শেখ সাহাদত হোসেনের বাড়ি থেকে মাহাফুজ ওরফে মিসাকে গ্রেফতার করে। একই সাথে সাহাদত হোসেনের ছেলে আকবর হোসেনকেও থানায় নেয়া হয়। থানায় নিয়ে দেখা যায় আকবর একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। অপরদিকে মিসাকে মুক্ত করতে আপস প্রক্রিয়া শুরু হয়। থানায় মিসা হুঙ্কার ছাড়তে আপস থেকে সরে আসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ অভিযোগকারী মিলন। ফলে গতকাল মিসাকে আর মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরা হয়নি। আজ বুধবার সকালে পুনরায় আপস প্রক্রিয়া করা হতে পারে। পুলিশসূত্র এরকমই তথ্য দিয়ে বলেছে, আপস না হলে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে মিসাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।