দেড় কেজি সোনা নিয়ে বেনাপোল বন্দর থানার এএসআই উধাও?

স্টাফ রিপোর্টার: বেনাপোল বন্দর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম দেড় কেজি সোনা নিয়ে আত্মগোপন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

পুলিশসূত্রে জানা গেছে, গত ২ জানুয়ারি দুপুরে শার্শা উপজেলার কাগজপুকুর গ্রাম থেকে ৩৬টি সোনার বিস্কুটসহ (তিন কেজি ৬০০ গ্রাম) মোমিন চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
মোমিনের বাড়ি উপজেলার সাদিপুর গ্রামে। ওই দিনই ৩৬টি সোনার বিস্কুট সরকারি ট্রেজারিতে জমা দেয়া হয় এবং মোমিনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ১২ জানুয়ারি মামলাটির তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। সোমবার মোমিন চৌধুরী যশোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমিরুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ওই জবানবন্দিতে মোমিন বলেছেন, সেদিন পুলিশ তার কাছ থেকে ৫১টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছিলো। এএসআই রফিকুল ইসলাম সেখান থেকে ১৫টি সরিয়ে রেখে মামলার এজাহারে ৩৬টি উদ্ধার দেখান। ওই ১৫টির (দেড় কেজি) কথা কাউকে না জানালে মামলা হালকা করে দেয়া হবে বলে তিনি মোমিনকে লোভ দেখান। মোমিনের ওই স্বীকারোক্তির পর থেকেই রফিকুল পরিবার নিয়ে উধাও হয়েছেন। পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরিয়ে রাখা ১৫টি সোনার বিস্কুট বেনাপোল থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম আলী সরদার বলেন, সোমবার দুপুরের পর থেকে এএসআই রফিকুল কোনো নোটিশ ছাড়াই থানায় অনুপস্থিত রয়েছেন। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ প্রসঙ্গে ওসি কাইয়ুম আলী সরদার বলেন, উদ্ধারের পর থানায় এনে ৩৬টি সোনার বিস্কুট দেখানো হয়েছে। যার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তিনিও ৩৬টির কথা স্বীকার করেছেন। তাহলে ভাগাভাগির প্রশ্ন আসছে কেন?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *