দু ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও সমাবেশ

 

 

জবাই এড়ানো সেই মোষ তিয়রবিলাবাসীকে করে বিভক্ত

আলমডাঙ্গা ব্যুরো:জবাই এড়িয়ে পালানো মোষ ধরা পড়লেও সে বিরোধ বাধিয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার তিয়রবিলা গ্রামে। ওই মোষ গ্রামের একাধিক ব্যাক্তিকে মেরে আহতও করে। তাদেরকে হাসপাতালেও নিতে হয়। সেই মোষ ধরে মালিক পক্ষের হাতে তুলে দেয়ার সময় প্রাপ্ত অর্থ নিয়ে গ্রামবাসী দু ভাগে ভিক্ত হয়ে পড়েছে। এক পক্ষ অপর পক্ষকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের রেছেন। তাদের পক্ষই গতকাল তিয়রবিলায় মানববন্ধন করে গ্রামের দু ভাইকে গ্রেফতারেরর দাবি জানিয়ে বলেছে, দু ভাইয়ের চাঁদাবাজির অত্যাচারে এলাকাবাসী এখন অতিষ্ট।

জানাগেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার তিয়রবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রামের মানুষ সমবেত হয়। তারা একই গ্রামের দু সহোদর ফারুক-বাবলুর বিরুদ্ধে গ্রামে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আশাদুল আলম, ইউপি সদস্য আব্দুস শহিদ, সাইদুর রহমান বিশ্বাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন, সাবেক মেম্বার শরিফুল ইসলাম। লাটিম হোসেন মাস্টারের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন আলী হোসেন, লিটন, লালন, আব্দুল মোমিন, কনেস আলী প্রমুখ। সমাবেশে ওই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় গত ৪ আগস্ট লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও তা আমলে নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তোলা হয়।

গ্রামের সাধারণ মানুষ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছে, ঈদের একদিন পর তিয়রবিলা মাঠে একটি মোষ পাওয়া যায়। মোষটি মানুষ দেখলেই তেড়ে এসে মারতে শুরু করে। ওই মোষের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। দুজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। মোষটি ধরে বেধে রাখা হলে প্রকৃত মালিক খোবর পেয়ে তা ফেরত নেন। তিনি ফেরত নেয়ার সময় কিছু টাকা দেন। সেই টাকার ভাগাভাগির মাঝে এসে পড়ে পূর্ব বিরোধ। তা নিয়েই এখন গ্রাম দু ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক পক্ষ মানবন্ধন করেছে। অপর পক্ষও এরকম পাল্টা কিছু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।