দুষ্কৃতীর অভিযোগ তুলে দুজনকে আটক :মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

 

চুয়াডাঙ্গার গগাড়ায় জুয়ারবোর্ড বসানোকে কেন্দ্রকরে তুলকালাম কাণ্ড

 

স্টাফরিপোর্টার: ঈদের দিন চুয়াডাঙ্গা সদরের গোবরগাড়া গ্রামে জুয়ারবোর্ড বসানোকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছে স্থানীয় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল যুবক। দুষ্কৃতীর অভিযোগ তুলে দুজনকে আটক করে স্কুলমাঠে নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে করা হয়েছে নির্যাতন। সন্ত্রাসী আখ্যাদিয়ে প্রচার করা হয়েছে অস্ত্র আর গুলি করার প্রচারণা। নির্যাতন শেষে মনির ও রফিকুলকে কতিপয় ব্যক্তি পুলিশে সোপর্দ করেছে। বিষয়টি নিয়ে গোটা ইউনিয়নজুড়ে শোনা যাচ্ছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য।

জানাগেছে, ঈদের দিন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গোবরগাড়া বাজারে এবং বাজারের পাশে টিকটিকির জুয়ার বোর্ড বসায় স্থানীয় জুয়াড়িরা। জুয়াবোর্ডবসানো নিয়ে বন্ধ করার জন্য জনৈক আলমকে বলা হয়। এতে দুজুয়াড়ি বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে মৃদু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে ঘটে তুলকালাম কাণ্ড। আলমের পক্ষ থেকে বলা হয়, কাশেমের ছেলে মনির রামদা নিয়ে আমাকে কোপাতে আসে এবং আমি প্রতিরোধ করি। অপরদিকে মনিরের পক্ষ থেকে বলা হয় আলম, শাহাজালাল, শাহালমসহ বেশ কিছু লোকজন এসে বাড়ি থেকে আমাকে এবং ঘরে ঘুমিয়ে থাকা রফিকুলকে ঘর ভেঙে তার ঘর থেকে ধরে নিয়ে যায় গ্রামের স্কুলমাঠে। সেখানে আমাদেরকে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করে তারা। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় উপস্থিত হলে পুলিশ রফিকুলকে তার লোকজনের জিম্মায় ছেড়ে দেয় এবং মনির হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করে।

এদিকে বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা আটককৃত মনির ও রফিকুলের নিকট অস্ত্র আছে এবং তারা দুরাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে বলে প্রচার করতে থাকে। এবিষয়ে গ্রামবাসীর সাথে কথা বললে তারা কোনো প্রকার গুলির শব্দ এবং অস্ত্র দেখেননি বলে জানায়। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনার সাথে যে যতোটুকু জড়িত তার বিরুদ্ধে ততোটুকু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।