দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাষ্ট্রের ৭৫৭ কর্মচারী

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রজাতন্ত্রের৭৫৭ কর্মচারী দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকরা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসব কর্মচারী অভিযুক্ত হন।খুব শিগগিরই এদেরবিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে।অবৈধভাবে অর্থ আয়ের জন্য এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীনানাভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন।এদের জন্য সরকারের বিপুল অংকের রাজস্বক্ষতি হয়েছে। গত তিন বছরে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রজাতন্ত্রের এক হাজার২৭৪ কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।এর মধ্যে ৪৮৪টি মামলার চার্জশিটহয়েছে।এতে ৭৫৭ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করাহয়েছে।পর্যায়ক্রমে এদের বিচার হবে।তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায়সংশ্লিষ্টদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা ব্যাপক হারেদুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন।অসাধু সচিব থেকে পিয়ন পর্যন্তকর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিকহয়েছেন তার প্রমাণ বহন করছে এসব মামলা বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
দুদকচেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানেইদুর্নীতির সুযোগ যেমন সবচেয়ে বেশি, তাদের ধরা পড়ার হার বেশি।দুদক দুর্নীতিদমনে কাজ করছে।এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রোধেওহাত দেয়া হচ্ছে।দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারী হোক, বেসরকারি হোক কোনোভাবেইরেহাই পাবে না।দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান যুগান্তরকে বলেন, যারসামান্যতম ক্ষমতা থাকে তিনি সেই ক্ষমতাকে অর্থে রূপান্তর করেন।প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা এ দেশেরই অংশ।শাস্তি পাওয়ার ভয় যতক্ষণ না থাকবেততক্ষণ দুর্নীতির বিস্তার রোধ করা কঠিন।কাজেই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধেকঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।যাতে অন্যরা শাস্তির ধরন দেখে ভয় পায়।
বিভিন্নমন্ত্রণালয়, দফতর, অধিদফতরের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেমন দুর্নীতিরসঙ্গে জড়িয়েছেন, তেমনি খোদ দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাওপিছিয়ে নেই।বিশেষ করে রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ডেসকো, ওয়াসা, ভূমিঅফিস, স্থানীয় প্রকৌশল, রেলওয়ে, যোগাযোগ, নৌ-বাণিজ্য, আইন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, ভূমি, বন, পরিবেশ, স্বাস্থ্যের মতো সেবা খাতেরকর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িয়ে পড়ছেন দুর্নীতির সঙ্গে।যাদের দায়িত্ব জনগণ তথারাষ্ট্রের অর্থ সম্পদ সুরক্ষার-তারাই এসব লুট করছেন।দুর্নীতির দায়েঅভিযুক্ত এসব সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ধরন প্রায়অভিন্ন।১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ক্ষমতারঅপব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ-সম্পদ অর্জন, দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ধারায়সম্পদের তথ্য গোপন বা সম্পদের মিথ্যা তথ্য প্রদান, ২৭(১) ধারায় জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, দণ্ডবিধির ১০৯, ৪০৮, ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৬, ৪৬৭ ধারায় এসবকর্মকর্তা-কর্মচারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।