দুর্ঘনার কথা বলা হলেও শরীরে আঘাত ॥ নেই চোখ ও কিডনি

সৌদিতে প্রাণ হারানো জীবননগর বেনীপুরের ওহিদুলের লাশ আড়াই মাস পর দাফন

জীবননগর ব্যুরো: ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সৌদি আরবে গিয়ে মাত্র এক মাসের মাথায় প্রাণ হারায় জীবননগর বেনীপুর ঘোষপাড়ার ওহিদুল ইসলাম বিশ্বাস (৩৫)। গত ৬ আগস্ট সৌদি আরবের আল খাছিন শহরের মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন বলে প্রচার করা হলেও আড়াই মাস পর শনিবার তার লাশ বাড়িতে আনা হয়। এ দিনই তাকে দাফন করা হয়। নিহত ওহিদুলের মরদেহে দুর্ঘটনার কোনো আলামত দেখা না গেলেও তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে গেছে। ওহিদুলের মরদেহে পাওয়া যায়নি তার চোখ ও কিডনি জোড়া। তবে কি ওহিদুল বিশ্বাসকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার শরীর থেকে চোখ ও কিডনি নিয়ে দুর্ঘটনার কথা প্রচার করে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা হয়েছে এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
একাবাসী জানায়, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর ঘোষপাড়ার আব্দুল মালেক বিশ্বাসের ছেলে দু সন্তানের জনক ওহিদুল ইসলাম বিশ্বাস গত জুলাই মাসে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সৌদি আরবে যান। তার এক আত্মীয় তাকে নিয়ে যান সৌদিতে। সৌদি আরবের আল খাছিন শহরের একটি হোটেলে তিনি চাকরি নেন। গত ৬ আগস্ট হোটেলের কাজ শেরে তিনি মাইক্রোবাসযোগে রুমে ফিরছিলেন। দ্রুতগতিতে যাওয়ার পথে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে মাইক্রোবাসটি আইল্যান্ডে গিয়ে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওহিদুল। এমন কথাই সে সময় প্রচার করে দেশে তার পরিবারকে ওহিদুলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। ওহিদুলের এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। দিশেহারা হয়ে পড়েন তার স্ত্রী দু সন্তানের জননী। ওহিদুলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বজনেরা শুরু করে যোগাযোগ। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস পর গত শনিবার তার লাশ দেশে এসে পৌঁছে। বিকেলে লাশ বাড়িতে নিলে দেখা যায় ওহিদুলের মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীর থেকে তার চোখ ও কিডনি দুটি নেয়া হয়েছে। ওহিদুলের শরীরে চোখ ও কিডনি নেই কেন? তাহলে কী চোখ ও কিডনি নেয়ার জন্যই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর। ওহিদুলের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার দরকার বলে দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।