দু’পক্ষের পৃথক মামলা দায়ের : উভয়পক্ষের আসামি ১৪ জন

দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত মহাসিনের দাফন সম্পন্ন

 

দামুড়হুদা অফিস: প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত মহাসিনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার নিজ গ্রাম দামুড়হুদার গোবিন্দহুদায় দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। অপরপক্ষের আহত মাসুম বিল্লাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। দু’পক্ষেই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।

জানা গেছে, দামুড়হুদা গোবিন্দহুদা গ্রামে মওলা গং ও নুরুল হক পেশকারের মধ্যে শরিকানা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা যেমন একাধিক, তেমনই পাল্টাপাল্টি মামলার সংখ্যা কম নয়। গত বুধবার সকাল ৯টায় মওলা বক্সের ছেলে মাসুম বিল্লা মন্টুকে (৪৭) স্থানীয় আড়মারী বিলের ধারে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাদের অভিযোগ, নুরুল হক পেশকারের লোকজন এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে তাকে রেফার করে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। পরদিন বৃহস্পতিবার মওলা বক্সের লোকজন মহাসিনকে (৪৫) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতপরশু শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান তিনি। মারা যাওয়ার আগেই মহাসিনের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন বাদী হয়ে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কুপিয়ে জখম মামলাটি পরবর্তীতে হত্যামামলায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া করে পুলিশ। অপরপক্ষের মওলা বক্সের ছেলে আ. কুদ্দুস বাদী হয়ে নুরুলহক পেশকারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মাসুম বিল্লাহ মন্টুকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ তুলে থানায় মামলা দায়ের করে।

মহাসিনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একটি পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিনের জমি জমা বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে দুশ্চিন্তার ছাপ। কবে নাগাদ এসব জমিজমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হবে? প্রশ্নের জবাব চায় গ্রামবাসী। এদিকে গতপরশু এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের একাংশে চিৎলার যুবলীগ নেতা মহাসিন হামালার নেতৃত্বে দিয়েছে বলে নিহত মহাসিনের স্ত্রী যে অভিযোগ করেন, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা মহাসিন। তিনি বলেছেন, ওই ঘটনার সাথে আমার কোনোপ্রকারের সংশ্লিষ্টতা নেই।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *