দামুড়হুদা নির্বাচন আসন্ন : নির্বাচনের হাওয়া বইছে

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের ৮ ও বিএনপি ৪ জনের নাম ভাসছে

 

দর্শনা অফিস: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ কাটতে না কাটতেই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে উপজেলা নির্বাচনের তফশিল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গরম হাওয়া ঠাণ্ডা হওয়ার আগেই উপজেলা নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে। দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তথা ১৯ দল অংশ না নিলেও উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছে প্রচার-প্রচারনা। দলীয় সমর্থন পেতে দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। কে কোন দল থেকে মনোনীত হচ্ছেন তা এখনো অস্পস্ট। প্রার্থী চুড়ান্ত করণের ক্ষেত্রে আ.লীগ ও বিএনপি রয়েছে কঠোর অবস্থানে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যেই যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- আ.লীগ তথা মহাজোটের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, হাউলী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি সহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. রফিকুল ইসলাম রান্টু, অ্যাড. আলমগীর হোসেন ও অ্যাড আব্দুল কুদ্দুস। তবে আ.লীগের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করণের লক্ষ্যে আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা অডিটরিয়াম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে বৈঠক। এ বৈঠকে দলের নীতিনির্ধারকরা চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেন। বৈঠকে জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আ.লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হাজি আলী আজগার টগরসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত না করা গেলে ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হতে পারে। দলের নীতিনির্ধারকদের বাইরে কোনো প্রার্থী বিদ্রোহী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে দলীয়ভাবে।

অপরদিকে বিএনপি তথা ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থীদের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী শাহ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, উপজেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খাজা আবুল হাসনাত ও দর্শনা পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম। তবে এ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য করা হবে বলেই মন্তব্য করেছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। এ ক্ষেত্রে দলের বৈঠকের মাধ্যমেই তারা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে এ পর্যন্ত দু দলের ১২ প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অসংখ্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রের দলের কোনো সিদ্ধান্ত থাকছে কি না তা এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।