দামুড়হুদা উপজেলায় ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করলেও কমেছে আলুর আবাদ ইউরিয়া সারের সঙ্কট : সার নিতে কৃষকদের দীর্ঘ লাইন

দামুড়হুদা অফিস: এবছর দামুড়হুদা উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টার আবাদ হয়েছে, কমেছে আলুর আবাদ। ব্যাপকহারে ভুট্টা আবাদ হওয়ায় ইউরিয়া সারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে কৃষিঅফিস বলেছে, অবরোধের কারণে সার আনতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, চলতি রবি মরসুমে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১২ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ২ হাজার ৫শ মে.টন। অপরদিকে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৩শ হেক্টর জমিতে ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ২৫০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন হবে ১৩ মে.টন। ব্যাপকহারে ভুট্টা চাষ হওয়ায় ইউরিয়া সারের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাষিরা সময় মতো সেচ দিতে পারলেও সার দিতে পারছেনা। ১ বস্তা সারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে তাদের। গতকাল বুধবার বিসিআইসি ডিলার ইয়াছিন আলীর গোডাউনে লাইনে দাঁড়িয়ে সার নিতে আসা বিষ্ণুপুর গ্রামের চাষি ছলিমুদ্দিন জানান, তার ৭ বিঘা জমিতে ভুট্টা রয়েছে। ৪ বিঘা জমিতে সেচ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সার দিতে পারেননি। আজ সার দেবে ১ বস্তা। তার প্রয়োজন আরও ১ বস্তা। পরে কৃষি অফিসের লোকজনের সহযোগিতায় সে ২ বস্তা সার পায়। গতকাল ১০ জন ডিলারের মধ্যে ৯ জনকে ৪৪ টন করে সার বরাদ্দ দেয়া হলেও সদরের ডিলার রবিউল হককে দেয়া হয়েছে ৩০ টন। তার সারের বরাদ্দ কম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। অজানা এক কারণে তাকে এ বরাদ্দ কম দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বেশ কিছুদিন পর গতকাল সার আসার খবর পেয়ে চাষিরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে ডিলারদের ঘরে। বাধ্য হয়ে চাষিদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে ডিলারদের কাছ থেকে গোপনে সার এনে গ্রাম এলাকায় বেশি দামে বিক্রি করছে একটি চক্র। তবে এর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। দামুড়হুদা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ বেশি হওয়ায় সারের এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অবরোধের কারণে বাফার গোডাউন থেকে সময় মতো সার আনতে পারছেন না ডিলাররা। তবে সব ডিলারই সার উত্তোলন করে বিক্রি শুরু করেছেন। সারের কোনো সঙ্কট থাকবে না।