দামুড়হুদার হাউলী ইউপি নির্বাচনের বাকি আর ৩ দিন : সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

 

প্রচারপ্রচারণার শেষ মুহূর্তেও কাটেনি ভোট বন্ধের ভয়

বখতিয়ার হোসেন বকুল/আব্দুল লতিফ: দামুড়হুদার হাউলী ইউপি নির্বাচনের বাকি আর ৩ দিন। আগামী ১৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার বিকাশ কুমার সাহা। তিনি বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি এক প্লাটুন বিজিবি ও এক প্লাটুন র‌্যাব চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও জানান, এ ইউনিয়নে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৪৭। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৮৫ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪টি।

এদিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চাচ্ছেন ভোট, দোয়া ও সমর্থন। প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা নির্বাচনী এলাকা। এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেলেও আজ ১৩ এপ্রিল ইউনিয়ন বিভাজনের ওপর হাইকোর্টে শুনানির দিনধার্য থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে সংশয়। চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তারপরও থেমে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

উল্লেখ্য, দামুড়হুদা নির্বাচন অফিস কর্তৃক গত বছরের ২৩ এপ্রিল দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর, কার্পাসডাঙ্গা, কুড়ুলগাছি, পারকৃষ্ণপুর-মদনা, হাউলী ও দামুড়হুদা সদর এই ৬টি ইউনিয়নে একযোগে তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল মোতাবেক জুড়ানপুর, কার্পাসডাঙ্গা, কুড়ুলগাছি ও দামুড়হুদা সদর এই ৪টি ইউনিয়নে গত বছরের ২৮ মে ভোট গ্রহণ করা হলেও মামলাজনিত কারণে হাউলী ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা এ দুটি ইউনিয়নে ভোটের ঠিক এক সপ্তাহ আগে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এক বছর পর আগামী ১৬ এপ্রিল হাউলী ইউনিয়নের ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক গত ২২ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এক বছর পর পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলে নড়েচড়ে বসে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ভোটারদের মধ্যেও এক ধরনের উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যায়।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজি সহিদুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) আবু সাঈদ খোকন (মোটরসাইকেল), অপর বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান বাবু (আনারস), জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (চশমা) স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহ্ তাজ আলম (রজনীগন্ধা) এবং আওরঙ্গজেব আকতার হোসেন সোহেল (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোয়ারা খাতুন (বক), হালিমা খাতুন (মাইক), খাদিজা পারভীন (সূর্যমূখী ফুল) এবং মনিরা খাতুন (কলম), সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ফেরদৌসী (তালগাছ), রেবেকা সুলতানা (মাইক), শিরিনা খাতুন (জিরাফ), আলিফা খাতুন (সূর্যমূখী ফুল) এবং ছালেহা বেগম (হেলিকপ্টার), সংরক্ষিত ৩ নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে সরেজান খাতুন (মাইক) মালেকা খাতুন (সূর্যমূখী ফুল), সফুরা খাতুন (বক), আদুরী বেগম (কলম) এবং ছামেনা খাতুন (বই) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

এছাড়া ১ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে দাউদ আলী (মোরগ), খোদেজা খাতুন (টিউবওয়েল), আব্দুল্লাহ আল-মামুন (ফুটবল), আনসার আলী (ভ্যানগাড়ি), আব্দুর রশিদ শাহ (আপেল), নিজাম উদ্দীন (বৈদ্যুতিক পাখা), মজিবার রহমান (ঘুড়ি) এবং শেখ সালাউদ্দীন পেয়েছেন (তালা)। ২ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে সালা উদ্দীন বাবলু (মোরগ), নজরুল ইসলাম (টিউবওয়েল) আহার আলী (ফুটবল), আজগর হোসেন (টর্চলাইট), আব্দুস সালাম (তালা), আয়ুব আলী (বৈদ্যুতিক পাখা) এবং লিটন আলী (ভ্যানগাড়ি)। ৩ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে কিসমত আলী (মোরগ),  নুরুল ইসলাম (টিউবওয়েল), তাহাজ্জত হোসেন (তালা) জয়নাল আবেদীন (ফুটবল), ফিরোজ আলী (ভ্যানগাড়ি) এবং আয়ুব আলী স্বপন পেয়েছেন (আপেল) প্রতীক। ৪ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে সমসের আলী (টিউবওয়েল), আসাদুজ্জামান সেলিম (ফুটবল), আরিফুল ইসলাম মিলন (তালা), আব্দুল হান্নান (ক্রিকেট ব্যাট) এবং তোতা মিয়া পেয়েছেন (মোরগ) প্রতীক। ৫ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মহির উদ্দীন (টিউবওয়েল), আসিফ করিম (মোরগ), নওশাদ আলী (ফুটবল), এবং শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন (আপেল) প্রতীক। ৬ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে রিকাত আলী (টিউবওয়েল), ফিরোজ উদ্দীন (মোরগ), জামাল হোসেন (তালা), জাহিদ হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা), জিয়াউল হক (ফুটবল), বাবু মিয়া (আপেল) এবং মহিদুল হক (ভ্যানগাড়ি)। ৭ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে শরীফ উদ্দীন (ফুটবল), ছাইদুর রহমান (টিউবওয়েল), আতিয়ার রহমান (মোরগ) আজিজুর রহমান আশাদুল (তালা) এবং শাহজামাল হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা)। ৮ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে জামাল উদ্দীন (ফুটবল), জহির উদ্দীন (টিউবওয়েল), আবুল কাশেম (মোরগ) মনিরুল ইসলাম (তালা) এবং আব্দুল হান্নান (ভ্যানগাড়ি)। ৯ নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে আবুল কালাম (মোরগ), রশিদ আলী (টিউবওয়েল), সাহাদ আলী (তালা), আব্দার আলী (ফুটবল), আব্দুল্লাহ সেলিম (ভ্যানগাড়ি), আব্দুল হালিম (বৈদ্যুতিক পাখা) এবং মফিজুল ইসলাম (লাটিম) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।