দামুড়হুদার শিবনগর ইকোপার্ক থেকে দু শিক্ষক ও এক ইউপি সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক : জেলহাজতে প্রেরণ

 

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার শিবনগর ডিসি ইকোপার্ক থেকে দু শিক্ষক ও এক ইউপি সদস্যকে ফেনসিডিলসহ আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাসহ গতকাল শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নাটুদহ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাদেরকে ২ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাসুদ রানা (৪০), নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রেজাউল হক শান্তি (৩৫) ও ভগিরথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাইজুল হোসেন (৪০) গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলযোগে শিবনগর ইকোপার্কে যায় ফেনসিডিল সেবন করতে। বহিরাগত ৪/৫ জন পার্কের শান বাঁধানো ঘাটে বসে ফেনসিডিল সেবন করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে নাটুদহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট নুরুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে দু বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেন। পরে রাত ১টার দিকে তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ দামুড়হুদা মডেল থানায় হাজির করা হয়। গতকাল দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ওই তিনজনকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এদিকে আটক ওই তিনজনের কাছ থেকে ২ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানালেও তাদের কাছে মোট ২৩ বোতল ফেনসিডিল ছিলো বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে। এলাকাবাসি জানান, দু পাতা অর্থাৎ ২৪ বোতলের মধ্যে একটি ভেঙে পান করার পরপরই পুলিশ তাদের আটক করে। ৫ জনের মধ্যে পুলিশ তিনজনকে আটক করলেও হেমায়েতপুরের হায়দার আলীর ছেলে বকুলসহ দু জন পালিয়ে যায়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হলেও জব্দ তালিকায় তা দেখায়নি পুলিশ। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি লিয়াকত হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে দু বোতল ফেনসিডিলসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়। তবে কোনো মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছিলো কি-না তা আমার জানা নেই। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।