দামুড়হুদার নাপতিখালী বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা

 

চাইনিজ কুড়ল দিয়ে কুপিয়ে ৪ জনকে আহত করার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এতে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থীর ৪ সমর্থককে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা চাইনিজ কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া একজনকে মসজিদে ইফতার করতে আসার সময় পথিমধ্যে তাকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে ধরে বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এবং গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার নাপিতখালী গ্রামে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালী গ্রামের আসমানের ছেলে জুরাইল (৩৬), একই গ্রামের ইনজিলের দু ছেলে আশরাফুল (২৬) ও লিয়াকত (৩০) এবং আজগারের ছেলে মনি (২৭) গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের ৬ নং সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী দেউলী গ্রামের মাবুদের পক্ষে কাজ করে। নির্বাচনে মেম্বার পদে বিজয়ী হন মাবুদ এবং পরাজিত হন বদনপুর গ্রামের সন্টু মেম্বার। ভোটের পর থেকেই ওই গ্রামের দু মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলে আসছিলো। গত সোমবার রাতে নারী ঘটিত একটি বিষয় নিয়ে ওই গ্রামে সালিশ বৈঠক বসানো হয়। সালিশ বৈঠক শেষে অভিযুক্ত নাপিতখালী গ্রামের সুলতান মুহুরীর ছেলে এনামুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় এনামুলের চাচাতো ভাই আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রফিকসহ তার পরিবারের লোকজন প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরদিন সন্ধ্যায় মাবুদের সমর্থক আজগারের ছেলে মনি গ্রামের মসজিদে ইফতার করতে আসার সময় পথিমধ্যে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সন্টুর সমর্থক রফিক তার লোকজন নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। এ সময় মনি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে তাড়িয়ে ধরে বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চিৎলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার সকালে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটিসহ উত্তপ্ত বাক্য বিনিমমেয়র এক পর্যায়ে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সন্টুর সমর্থক রফিক, আব্দুর রউফের ৩ ছেলে শাহনেয়াজ, জামাল, নছর এবং হালিমের ছেলে নাজমুলসহ ১০/১৫ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাবুদের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। তাদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়ুলের কোপে আসমানের ছেলে জুরাইল, ইনজিলের দু ছেলে আশরাফুল ও লিয়াকত রক্তাক্ত জখম হয়। আহতদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রক্তাক্ত জখম জুরাইলের মাথায় ২২ টি, আশরাফুলের মাথায় ৯টি এবং লিয়াকতের মাথায় ৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে কন্দ্রে করে ওই গ্রামের উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে আবারও রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।