দামুড়হুদার চিৎলা-গোবিন্দহুদা গ্রামে হনুমানের আক্রমণে জখম রোগীদের ২৯ জনকে দেয়া হচ্ছে রাবিপোর ভ্যাকসিন

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার চিৎলা-গোবিন্দহুদা গ্রামে হনুমানের আক্রমণে জখম রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল বিন সেলিম খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম এ চিকিৎসাসেবা (ভ্যাকসিন) দিচ্ছে। জখম ৩৫ জনের মধ্যে ২৯ জনকে শনাক্ত করে দেয়া হচ্ছে রাবিপোর ভ্যাকসিন। আগামী ২৯ জানুয়ারি এ ভ্যাকসিন কার্যক্রম শেষ হবে বলে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. সাঈদুর রহমান জানান, আমরা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। কর্তৃপক্ষও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ে ঢাকা থেকে ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা করে। ওই সময় হরতাল আর অবরোধের কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জন ডা. খন্দকার মিজানুর রহমানের অনুরোধে খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মামুন পারভেজের সুপারিশে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ডা. খন্দকার শেফায়েতুল্লাহ ও পরিচালক রোগ নিয়ন্ত্রণ (কেন্দ্রীয়) ডা. বেনজির আহম্মেদ ঢাকা থেকে আকাশ পথে ভ্যাকসিন কিডস যশোরে পৌছানোর ব্যবস্থা করেন। ভ্যাকসিন কিডস যশোর পৌঁছানোর পর দ্রুততম সময়ে চুয়াডাঙ্গায় আনার ব্যবস্থা করা হয় এবং শুরু করা হয় ভ্যাকসিন কার্যক্রম। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল বিন সেলিম খানের নেতৃত্বে এ ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোট ৪ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এর মধ্যে ৩ ডোজ শেষ হওয়ার পথে। সব রোগীই সুস্থ আছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের চিৎলা ও গোবিন্দহুদা গ্রামে একটি ক্ষ্যাপা হনুমান তাণ্ডব চালিয়ে শিশু ও বৃদ্ধসহ ৩৫ নারী-পুরুষকে কামড়ে, আঁচড়ে আহত করে। দু গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ লাঠিসোটা, দা, হেঁসো, ঝুঁপি, ফালা নিয়ে সকাল থেকেই ওই ক্ষ্যাপা হনুমানটিকে মেরে ফেলার নানা চেষ্টা করার পরও ব্যর্থ হয়ে শেষমেষ গ্রামবাসীর অনুরোধে বিকেলে দর্শনার স্বপন তার লাইসেন্সকৃত নিজস্ব বন্দুক দিয়ে গুলি করে ওই ক্ষ্যাপা হনুমানটিকে হত্যা করে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *