দামুড়হুদার কুড়–লগাছিতে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের শিকার ॥ ধর্ষকসহ দুজন গ্রেফতার

কুড়–লগাছি/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় বাকপ্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামে একটি মুরগি খামারে এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্ষিত শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষক আমির হোসেন ও খামার মালিক মন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি গ্রামের রমজান আলী মাস্টারের ছেলে মন্টুর মুরগি খামারে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু (১০) যায়। এ সময় খেলার ছলে সে সিঁড়ি বেয়ে খামারের দোতলায় ওঠে। সেখানে ছিলো খামারের কর্মচারী গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আমির হোসেন। বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে একা পেয়ে সে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ধস্তাধস্তির সময় ধর্ষিত শিশু দোতলা থেকে নিচে পড়ে আহত হয়। ধর্ষক যুবক আমির হোসেন এ সময় সটকে পড়ে। ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী সদাবরী গ্রামে তার নানা বাড়ি থেকে ধর্ষক আমির হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। একই সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমউল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় খামার মালিক মন্টুকেও গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে বলে ওসি আবু জিহাদ জানান। তিনি জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুর পিতা বাদি হয়ে ধর্ষক আমির হোসেন ও খামার মালিক মনিরুজ্জামান মন্টুকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি কনসালটেন্ট হোসনে জারি তাহমিনা আঁখি জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা খুবই খারাপ। তার শরীর থেকে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়া দোতলা থেকে পড়ে তার একটি পা গুরুতর জখম হয়েছে। ওই শিশুর মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন জানান, ঘটনাটি দঃখজনক। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। মেয়েটির পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।