দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় সরকারি খাসজমিতে মার্কেট নির্মাণ : বিভাগীয় কমিশনারসহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রাস্তা সংলগ্ন হাটের সরকারি খাসজমিতে পুলিশ প্রশাসনের তরফে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। মার্কেট নির্মাণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারসহ (রাজস্ব) একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সরেজমিন তদন্ত করেছে।

জানা গেছে, গত বুধবার দুপুর ২টার দিকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার অশোক কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহবুব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) মো. মোখলেছুর রহমান ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ হোসেন। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আহসান হাবীব পিপিএম ও কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি রবিউল ইসলাম।

উল্লেখ্য, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রাস্তা সংলগ্ন হাটের সরকারি খাসজমিতে পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক গত ১৯ জুন মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু কর্। মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরুর পরদিনই কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন সহকারী কমিশনার (ভূমি)  আবদুর রশিদ বিষয়টি সহকারী কমিশনার ফরিদ হোসেনকে লিখিতভাবে জানান। তিনি সরেজমিন তদন্ত শেষে বিষয়টি ২৬ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে অবগত করেন। ২৭ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া আফরিন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীবকে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই স্থাপনার নির্মাণ বন্ধ রাখার জন্য লিখিত অনুরোধ করে পত্র দেন এবং জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবগত করেন। ৩০ জুন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন এ কাজকে অবৈধ দাবি করে কার্পাসডাঙ্গা হাটের পেরিফেরিভুক্ত জমিতে সরকারের অনুমতি ছাড়া কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প কর্তৃক স্থায়ী দোকানঘর নির্মাণ কাজ বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন। ওই পত্রের অনুলিপি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি সংশ্লিষ্ট দফতরেও প্রেরণ করা হয়।  এরই প্রেক্ষিতে সরেজমিন তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সংশ্লষ্টসূত্র জানিয়েছে।