দামুড়হুদার আরামডাঙ্গায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

 

কার্পাসডাঙ্গা/কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গার ইঞ্জিল (২২) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে কার্পাসডাঙ্গার নেভী ইটভাটার একটি ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণের আলামত পাওয়া গেলেও শরীরে আঘাতের তেমন দাগ পাওয়া যায়নি। সে আরামডাঙ্গার আব্দুর রশিদের ছেলে।

মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পদক্ষেপ নেয়। গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। পরে নিজ গ্রামে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলেছে,কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গার আব্দুর রশিদের ছেলে ইঞ্জিলের (২২) কার্পাসডাঙ্গা কাস্টমমোড়ে চায়ের দোকান ছিলো এবং তার ব্যবসা ছিলো বেশ জমজমাট। কিন্তু মাঝপথে এসে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মানসিক ভারসাম্য হারায়।তাকে তার পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। ইঞ্জিল গত পরশু দুপুরে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরে। রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার মাকে বলে আমি আজ বাড়িতে আসবো না রাতে বাইরে ফুটবল খেলা দেখব। বাড়ি ফেরেনি। বুধবার সকাল হলে ভাটার শ্রমিকরা বিশ্রাম নেয়ার জন্য বিশ্রাম ঘরে গেলে তার মরদেহ দেখতে পায়।লাশের খবর পেয়ে ইঞ্জিলের পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসে। লাশ শনাক্ত করে।পরে কার্পাসডাঙ্গা ফাড়ির আইসি ইমদাদ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। ময়নাতদন্ত করার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ইঞ্জিল ৪ ভাইয়ের মধ্য দ্বিতীয় ছিলো। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে আরামডাঙ্গা কবরস্থানে তার লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সিকদার মশিউর রহমান বলেছেন, শামীম আক্তার ওরফে ইঞ্জিলের মরদেহ তার বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে ইটভাটার পরিত্যক্ত ঘরে পড়েছিলো।মৃত্যুর কারণ জানতে প্রাথমিক তদন্তও করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।