দর্শনা আজমপুরে তহমিনা হত্যাকাণ্ডের ১৩ দিন পার ” গ্রেফতার হয়নি ঘাতক জামাই আতিয়ার

 

দর্শনা অফিস: দর্শনা আজমপুরে তালাক দেয়া স্ত্রীকে অপহরণ করতে গিয়ে শাশুড়িকে হত্যা করেছে ঘাতক জামাতা আতিয়ার। এ হত্যাকাণ্ডের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ঘাতক আতিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ আতিয়ারসহ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য জাল বিস্তার করলেও হয়নি কোনো সুফল।

জানা গেছে, বছর সাতেক আগে দর্শনা পৌর এলাকার আজমপুর মসজিদপাড়ার আ. কাদেরের একমাত্র মেয়ে জোসনা খাতুনের বিয়ে হয় যশোর চৌগাছা উপজেলার শুয়াকলি গ্রামের শের আলীর ছেলে আতিয়ার রহমানের সাথে। জোসনা ও আতিয়ার সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাইবোন হলেও নানা কারণে বিয়ের পর থেকে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মাদকাসক্তসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। বিয়ের বছর চারেকের মাথায় আতিয়ার ও জোসনার মধ্যে ঘটে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা। বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনার পর থেকে আতিয়ার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বিভিন্নভাবে জোসনার পরিবারকে হুমকি অব্যাহত রাখে। গত ২৬ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আতিয়ার রহমানসহ ৪/৫ জন সশস্ত্র হানা দেয় দর্শনা পৌর শহরের আজমপুরের আ. কাদেরের বাড়িতে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তালাকপ্রাপ্ত আতিয়ার রহমান ও তার অস্ত্রধারী সাঙ্গপাঙ্গরা কাদেরের বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক জোসনাকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা চালায়। জোসনার মা তহমিনা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে জামাই আতিয়ার এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে জোসনাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মেয়ে রক্ষার প্রাণপ্রণ চেষ্টাকালে ঘাতক জামাতা আতিয়ার শাশুড়ি তহমিনাকে মাইক্রোবাসের চাকার নিচে ফেলে পৃষ্ট করে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা তহমিনাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যায়। এ ঘটনায় আ. কাদের বাদী হয়ে আতিয়ার রহমানসহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় দায়ের করেন হত্যা ও অপহরণ মামলা।

এদিকে ওই রাত আড়াইটার দিকে দামুড়হুদা ও দর্শনা পুলিশের যৌথ অভিযানে চৌগাছা পাচনয়না গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় জোসনাকে। তহমিনা হত্যাকাণ্ড ও জোসনা অপহরণ মামলার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এ মামলা প্রধান আসামি আতিয়ারসহ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান বলেছেন,আসামিদের গ্রেফতার কৌশল অবলন্বন করা হয়েছে।