দর্শনায় ছাত্রশিবির কর্মী রফিকুল নিহত : ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

দর্শনা অফিস: দর্শনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় শিবিরকর্মী নিহত ঘটনার দু সপ্তা পার হলো। হামলা ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলার আসামিদের গ্রেফতার অভিযান রয়েছে অব্যাহত। ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পরিদর্শন করলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের মুক্তির দাবিতে গত ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ছিলো কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল। বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের সাথে শিবিরকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধাওয়ায় শিবিরকর্মীরা অবস্থান নেয় দর্শনা হল্টস্টেশনের রেলগেট এলাকায়। সেখানে ছাত্রশিবির ও পুলিশের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের দেলোয়ার শেখের ছেলে চুয়াডাঙ্গা বদরগঞ্জ মাদরাসার আলীম ২য় বর্ষের ছাত্র শিবিরকর্মী রফিকুল ইসলামের মাথায় গুলিবিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। এ ঘটনায় আহত হন থানার অফিসার ইনচার্জসহ ৭ পুলিশ। দামুড়হুদা থানার এসআই আফজাল হোসেন বাদী হয়ে ২৮৯ জনের নামে ও প্রায় সাড়ে শ জনের বেনামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় গত দু সপ্তায় ৭ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান রয়েছে অব্যাহত। তবে জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।

এদিকে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি হল্টস্টেশন এলাকায় প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন দামুড়হুদা থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান।