তুরাগ তীরের দিকে মসুল্লিদের যাত্রা

স্টাফ রিপোর্টার: আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েত বিশ্ব ইজতেমার ৪৯তম পর্ব। মুসল্লিরা দল বেধে তুরাগ তীরে হাজির হচ্ছেন। তারা তাদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন।

আয়োজক কমিটির মুরুব্বিরা জানিয়েছেন, মুসল্লিরা গত কয়েকদিন ধরেই আসতে শুরু করেছেন। আজ ও আগামীকাল আরও বেশি সংখ্যক মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নেবেন। তবে আখেরি মোনাজাতের দিন মুসল্লিরা স্রোতের মতো আসবেন বলে তারা জানান। ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১টি দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। এবার বিদেশি মুসল্লির সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ১৬০ একর এলাকা জুড়ে বিশাল সামিয়ানা টানানো হয়েছে। ইজতেমার দু পর্বের প্রথম পর্ব শুরু হবে আগামীকাল ২৪ জানুয়ারি। বহু প্রত্যাশিত আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে এ পর্ব শেষ হবে ২৬ জানুয়ারি। মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি। মুসল্লিদের তুরাগ নদী পারাপারের জন্য ৮টি স্থানে ভাসমান সেতু (পন্টুন) স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড ওই ব্রিজ স্থাপনের কাজ করেছে। এছাড়া ১১টি নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন তিন কোটি লিটারেরও বেশি বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত ও সরবরাহের সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এদিকে ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে ৫ স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। দু পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় মাঠের দায়িত্ব পালনে সর্বদা নিয়োজিত থাকবে ৱ্যাবের প্রায় ১ হাজার সক্রিয় সদস্য।

গতকাল টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান সরেজমিন পরিদর্শনকালে ৱ্যাব ডিজি মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তার জন্য ১টি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, ২টি সিসিটিভি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ও পর্যাপ্ত সিসিটিভির মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হবে।