তীব্র যন্ত্রণায় কাতর কুবাদ আলীর আকুতি : আমি আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিনে

স্টাফ রিপোর্টার: ‘কান ধরছি, আর কোনোদিন কোনো কবিরাজের কথা শুনবো না, তোমরা আমার ভালো ওষুধ দাও, আমি আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিনে’। সত্তর বছরের কুবাদ আলী এ আকুতি করছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে। গতকাল মঙ্গলবারেই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

কুবাদ আলী আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলার মৃত ফকির চান মণ্ডলের ছেলে। মাস খানেক আগে মাঠে গেলেন। পাট কেটে বাড়ি ফিরলেন। গলার মধ্যে খুশ খুশ করতে লাগলো। বুনো ওল খেলে যেরকমভাবে চুলকোনোর মতো ধরে, সেরকম। গ্রামেরই এক ওঝা হাত চালান দিয়ে বললো কুলিনের বিষ লেগেছে। ওষুধ দিতে হবে। দিলো। কিন্তু সমস্যা গেলো না। একে একে ৬ কবিরাজ ওষুধ দিলো। কারো কোনো ওষুধেই কাজ তো হলোই না, উপরন্ত বাড়তেই থাকলো গলার যন্ত্রণা। শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণা যখন তীব্র থেকে তীব্রতর তখনই এক কবিরাজ ওষুধ দিয়ে হাসপাতালে না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু রোগীর সচেতন এক আত্মীয়ের পরামর্শ আর রোগীর তীব্র ইচ্ছে শেষ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল পর্যন্ত পৌছুনো সম্ভব হয়েছে।

লালা ঝরছে। যন্ত্রণায় হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছেন কুবাদ আলী। কী হয়েছে তার? চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষক্রিয়া বলেই মনে হচ্ছে। গ্রাম্য ওঝা কবিরাজদের অপচিকিৎসায় বিষয়টি জটিল হয়ে গেছে। আমরা চিকিৎসা দিয়ে রোগী সুস্থ করার চেষ্টা করছি। দু-একদিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা করছি আমরা।