তিনদিনের মধ্যে চোর পাকড়াওসহ চুরি হওয়া সোনা উদ্ধার না হলে আন্দোলন

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সামনের জুয়েলার্সের দোকানে চুরি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা থানার সামনের নিউ মডার্ন জুয়েলার্স থেকে চুরি হওয়া সোনা ও সোনার গয়না তিন দিনের মধ্যে উদ্ধার করতে না পারলে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি চুয়াডাঙ্গা শাখা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সমিতির চুয়াডাঙ্গাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঈদের দিন অথবা রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সামনের নিউ মডার্ন জুয়েলার্সের দেয়াল কেটে বা ভেঙে লোহার দুটি সিন্দুক গুঁড়িয়ে কমপক্ষে ৫০ ভরি ১০ আনা সোনা ও সোনার গয়না চুরি হয়। পুলিশ ওই এলাকায় কর্মরত নৈশপ্রহরী সারজেদ হোসেনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ছাড়াও গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, জীবননগর বাসস্ট্যান্ডপাড়ার মৃত মসলেম আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, নূরনগর কলোনীর মৃত আকছেদ আলীর ছেলে সামাদ, জাফরপুরের মৃত চাঁদ মল্লিকের ছেলে ফারুক মল্লিক, দৌলাতদিয়াড় চূনুরীপাড়ার মৃত আচন শেখের ছেলে জমসের আলী ফিটিঙকে। এদের গ্রেফতার করে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ দাবি করলেও চোরাই সোনা ও সোনার গয়না উদ্ধার করতে পারেনি। মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের কয়েকটি স্থানে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়েও চোরাই মালামালের হদিস করতে পারেনি। দামুড়হুদা উপজেলা শহরের জুয়েলারি দোকানে চুরির সাথে জড়িতদের কেউ নিউ মডার্নে চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে।

এদিকে ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও চুরি হওয়া সোনা ও সোনার গয়না পুলিশ উদ্ধার করতে না পারায় গতকাল রোববার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি এক সভায় মিলিত হয়। সমিতি কার্যালয়ে সমিতির চুয়াডাঙ্গা সভাপতি মো. সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চুরির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিষদ আলোচনা উপস্থাপন করেন সমিতির সেক্রেটারি মো. শেখ সাদী। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে পুলিশ প্রকৃত চোর ধরে চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে না পারলে আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করবে সমিতি।

উল্লেখ্য, ঈদের রাত পোহানোর পর ভোরে নৈশপ্রহরী বাড়ি ফেরার পূর্বে ঘুরে দেখতে গিয়ে ভাঙা দেয়াল দৃষ্টিগোচর হয়। জুয়েলার্স মালিক বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসিসহ কর্মকর্তাদের অনেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।