তফশিল ঘোষণার পরপরই প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সারাদেশে ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ

চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে গাড়ি ভাঙচুর : ককটেলসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: ঘোষিত জাতীয় নির্বাচনের তফশিল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। রাস্তা বন্ধ করে রাত থেকেই বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক অবরোধ। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর থেকে কোনো দূরপাল্লার কোচ গতরাতে ছাড়েনি। রাতে পুলিশ কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। সরোজগঞ্জ এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

৪৮ ঘণ্টার অবরোধ আহ্বান করেছে ১৮ দল। আজ ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজপথ, নৌ ও রেলপথ অবরোধের আওতায় থাকবে। গতরাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণার আগেই দেশজুড়ে চলে ভাঙচুর, বিক্ষোভ মিছিল। গতরাতে মাগুরায় চুয়াডাঙ্গার আলসানি গাড়িটি ভাঙচুরের মাঝে পড়ে। গতরাত থেকেই চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর থেকে দূরপাল্লার কোচ ছাড়েনি। চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। দোকানেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির মিছিল থেকে বেশ কয়েক যুবক ছুটে গিয়ে একটি অটোরিকশা ও একটি বাস ভাঙচুর করে। পোস্ট অফিসের সামনের রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ককটেলের বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ আর রাস্তায় আগুনে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। কিছুক্ষণের মধ্যেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। মধ্যরাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, পৌর বিএনপি নেতা মজিবুল হক মালিক মজুসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতার বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি চালানো হয়। তবে গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ বিএনপি নেতাদের তেমন কাউকে ধরতে পারেনি। তবে রাতেই সরোজগঞ্জ তৃপ্তি হোটেলের মালিক জলিবিলার জয়নাল ও যাদবপুরের বিল্লালকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত ছিলো। অভিযানে বিজিবি সদস্যদেরকেও অংশ নিতে দেখা গেছে।

দশম জাতীয় নির্বাচনের তফশিল প্রত্যাখান করে গতরাত ৮টার দিকে জেলা বিএনপির জেলা কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাসান চত্বরে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এম জেনারেল ইসলাম, ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, শহিদুল ইসলাম রতন, মজিবুল হক মালিক মজু, আবু জাফর মন্টু, শহিদুল হক বিশ্বাস, গোলাম মোস্তফা বিমান, রবিউল ইসলাম লিটন, শরিফুজ্জামান সিজার, আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মোখলেছুজ্জামান মকলেচ, ইমরুল হাসান জোয়ার্দ্দার মুকুল, ফারুক মল্লিক, সহিদুল ইসলাম, তৌফিকুজ্জামান তৌফিক, এমএ তালহা, শহীদ হোসেন লাড্ডু, মঞ্জুরুল জাহিদ, রাজীব খান, সুজন মালিক, মোমিনুর রহমান মোমিন, এসকে হাদী, আরিফুজ্জামান পিন্টু, আক্তারুজ্জামান আক্তার, ফারুক হোসেন, স্বাধীন কুমার অধিকারী প্রমুখ।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি একাংশের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি সন্ধ্যা ৭টায় কেদারগঞ্জস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কার্যালয়ে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপি একাংশের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি একাংশের যুগ্মসম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদস্য সচিব সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহজাহান খান, জেলা তরুণদলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকার, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ, ছাত্রদল নেতা ইমরান মহলদার রিন্টু, শিপুল, ওয়ালিদ প্রমুখ।

            এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সমর্থিতরা কোর্টমোড়স্থ কার্যালয়ে সমাবেশ করেছে। এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সভাপতিত্ব করেন আইনুর হোসেন পচা। প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ১০ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার পর ঝিনাইদহ শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঝিনাইদহ শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মোড়, শেখপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শৈলকুপার শেখপাড়া বাজারে ২৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে নির্বাচন বিরোধীরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তফশিল ঘোষণার পর রাত ৮টার দিকে ঝিনাইদহ শহরে বিএনপি একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে মিছিল বের করে। বিএনপির মিছিল শেষে ঝিনাইদহ শহরের কেপি বসু সড়কে তাৎক্ষণিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, বিএনপি নেতা জাহিদুজ্জামান মনা, অ্যাড. মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আরিফুল ইসলাম আনন ও জিয়াউল ইসলাম ফিরোজ।

এদিকে বিএনপির মিছিল শেষ হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গোলাম সারোয়ার সউদের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের হয়। এ সময় শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যাক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ৮টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের কেপি বসু সড়ক ও আরাপপুর এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরেও বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়াবাজারে বেপরোয়াভাবে ২০/২৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং ২৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে। জেলাব্যাপি পাল্টাপাল্টি মিছিল, গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের পর শহরগুলোতে পুলিশ ও র‌্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। হুইসেল বাজিয়ে র‌্যাবের গাড়ি টহল দিচ্ছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের সাথে যোগোযোগের জন্য তার মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন শেখপাড়াবাজারে ককটলে বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের খবর স্বীকার করেছেন।

ইবি প্রতিনিধি জানিয়েছেন,  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, মহাসড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে ইবি শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় শিফটের গাড়ি ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে পারেনি।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের তফশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল, মহাসড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেট আটকে রেখে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে। ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাস গেট থেকে শুরু হয়ে থানা গেট প্রদক্ষিণ শেষে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ৪/৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে। সমাবেশে ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে কোনো প্রকার অযৌক্তিক তফশিল ঘোষণা করতে দেয়া হবে না। যদি তারা এমন কোনো অযৌক্তিক তফশিল ঘোষণা করে তাহলে আমরা আগামীকাল (আজ) থেকে সারাদেশ অচল করে দেবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেট বন্ধ করে মিছিল ও সমাবেশ করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় শিফটের গাড়ি ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে পারেনি। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। দেড় ঘণ্টা বন্ধ রাখার পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গেট খুলে দেয়।

তফসিল প্রত্যাখান করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতরাত ১০টার দিকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপি সভাপতি মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন বলেছেন, তফশিল ঘোষণার মধ্যদিয়ে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব ও বাকশাল কায়েমের ষড়যন্ত্র ফুটে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষের দাবি উপেক্ষা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতেই নির্বাচন করা হচ্ছে। সর্বদলীয় সরকারের নামে মহাটোজের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে জনগণকে ধোকা দেয়া হচ্ছে। বিএনপি ছাড়া নির্বাচন করলে তা অর্থবহ হবে না। দেশে কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাবে না। এসব ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবেলা করার হুঁশিয়ারী করে তিনি ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করতে নেতাকর্মী সমর্থকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।–প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের দুটি স্থানে তাৎক্ষণিক কিছু সময় সড়ক অবরোধ করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের বারাদি ও মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের দারিয়াপুর কালিতলা মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য সড়ক অবরোধ করা হয়। গাছের গুঁড়ি ফেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৱ্যাব-পুলিশের একাধিক দল গাছের গুঁড়ি সরিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে। দারিয়াপুর কালিতলার মোড়ে রাস্তার আড়াআড়ি বাঁশ বাঁধা হয়। এসএম পরিবহনের একটি বাস মুজিবনগরে যাওয়ার সময় তাতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গ্লাস ভেঙে দেয় অবরোধকারীরা। সেখানে ৬/৭টি পটকা ফাঁটায়। একই সময়ে মেহেরপুর ওয়াপদা মোড়-হাসপাতাল সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ১০/১২ মিনিটের মতো অবরোধ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখানে ৪/৫টি পটকা ফাঁটায় তারা। পুলিশ আসার আগেই স্থান ত্যাগ করে অবরোধকারীরা। সন্ধ্যা থেকে জেলার কয়েকটি সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল রাতে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড ও হাসপাতাল এলাকাসহ এর আশপাশে ব্যাপকহারে ভারতীয় শক্তিশালী পটকা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত ১০টিরও বেশি শক্তিশালী পটকা জাতীয় বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনায় শহরজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। উৎসুক মানুষ শব্দের ধরণ, উৎস স্থল ও ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা জানতে  উদগ্রীব হয়ে পড়ে।

গতকাল রাত ৯টার দিকে প্রথমে শহরের হাসপাতাল সড়কে পর পর শক্তিশালী ককটেল অথবা শক্তিশালী ভারতীয় পটকা জাতীয় বস্তুর শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে শহর। এরপর রাত সাড়ে ৯টা থেকে একনাগাড়ে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত ৯টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর মধ্যে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৪টি, দত্তনগর সড়কে ১টি, চুয়াডাঙ্গা সড়কের মল্লিক মাকের্টের সামনে ২টি ও হাসপাতালের সামনে ৩টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।