তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হস্তান্তর : সকালে প্রশ্নপত্র সেট নির্ধারণের সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার: প্রশ্নপত্রপ্রণয়নে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত, পরীক্ষার দিন সকালে লটারিরমাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ, বেশি সংখ্যক সেটের প্রশ্নপত্রপ্রণয়নসহ মূল চারটি সুপারিশ করে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গঠিতকমিটি শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমাদিয়েছে।গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ প্রতিবেদনজমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসনও অর্থ) সোহরাব হোসাইন। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের শনাক্তকরা হয়েছে কি-না, তা এড়িয়ে যান শিক্ষামন্ত্রী।

সূত্র জানিয়েছে, দু দফায়সময় বৃদ্ধি করা হলেও প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত রয়েছে এমন নির্দিষ্ট কাউকে দায়ীকরতে পারেনি কমিটি।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সাড়ে ৫ বছরেরইতিহাসে এ প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি একটি কালো দাগ। তবে এ বিষয়টিকে আমরাসহজভাবে নেইনি। এ জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি স্বাধীনভাবে কাজকরে তদন্ত কাজ শেষ করেছে। বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, ব্যবস্থাপক, প্রযুক্তিবিদদের সাথে কথা বলে সুপারিশগুলো করা হয়েছে বলেজানান শিক্ষামন্ত্রী।মন্ত্রী বলেন, কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবে প্রয়োগ করবো। পরবর্তী সময়ে আপনাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।সোহরাবহোসাইন বলেন, প্রতিবেদনে ইন্টারনেট নির্ভর প্রশ্নপত্র প্রণয়নে প্রযুক্তিব্যবহারের ওপর জোর দেয়া হয়েছে, সময় লাগলেও এজন্য একটি অবকাঠামো ব্যবস্থাগড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি সফটওয়ার তৈরি করতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগ, বিদ্যুত থাকতে হবে এবং প্রিন্টারসহ ডিজিটালপ্রিন্টিং ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো ঝুঁকিথাকবে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরীক্ষার দিন সকাল বেলা সিদ্ধান্তনেয়া যেতে পারে কোন প্রশ্নপত্রের কোন সেটে পরীক্ষা হবে। এক্ষেত্রেপ্রশ্ন ফাঁস হবে না, কারণ সেট নির্ধারণের আগে কেউ জানতেই পারবে না। এছাড়াস্থানীয়ভাবে ছাপা হওয়া প্রশ্নপত্র পরীক্ষার হলে যাওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তানিশ্চিত করতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সাথেজনসম্পৃক্ততা কমিয়ে আনতে হবে।

চলতি বছর ১০ এপ্রিল প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায়গত ঢাকা বোর্ডে এইচএসসি ও ডিআইবিএসের (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিস)ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ওই দিনই একটি তদন্ত কমিটি গঠনকরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাত সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তকমিটির প্রধান করা হয় সোহরাব হোসাইনকে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন-জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন করে যুগ্মসচিব, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (কলেজ) ও যুগ্মসচিব (মাধ্যমিক), মাধ্যমিক ওউচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেরপরিদর্শক (বিদ্যালয়)।কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেবলা হয়। পরে এ কমিটি দু দফা সময় বাড়িয়ে নেয়। এছাড়া ঢাকা শিক্ষাবোর্ডওএকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ইতোমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।