তদন্তে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা : জীবননগর হাসাদহ হতে ৩ কেজি সোনার চালান ধরলো কোন বাহিনী?

 

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা বিজিবি মাত্র তিনদিন আগে আড়াই কেজি সোনার গয়না উদ্ধারের পর গতকাল সোমবার দিনভর গুজব রটে হাসাদাহ বাজার হতে তিন কেজি সোনার একটি চালান আটক করা হয়েছে। কোন বাহিনী এ চালান আটক করেছে সে বিষয়ে অবশ্য কেউই তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে মহেশপুর থানা পুলিশ হাসাদহ হতে ইয়াবাসহ একজনকে ধরে নিয়ে গেছে এমন তথ্য পাওয়া গেলেও তারও কোনো সত্যতা মেলেনি। গুজব কিংবা সত্যি যাই হোক তবে ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

সোনা পাচারের নিরাপদ একটি রুট এ সীমান্ত। এ সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয় সোনার বার, আর আসে গয়না। ক্যারিয়াররার এ সোনা বহন করলেও রাঘব বোয়ালরা থাকেন ঘটনার অন্তরালে। তাদের টিকিটিও ছুঁতে পারেনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গত শনিবার ভারত থেকে পাচার হয়ে আসার পথে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি জীবননগর উপজেলার মোল্লাবাড়ি হতে একটি পাখিভ্যান আটক করে তাতে তল্লাসি চালিয়ে আড়াই কেজি স্বর্ণের গয়না উদ্ধার করে। এ সময় আটক করা হয় পাখি ভ্যানচালক সেন্টু শেখকে। গত শনিবার বিজিবি এ সোনার গয়না উদ্ধার করার পর গতকাল সোমবার খবর রটে হাসাদাহ বাজার হতে ৩ কেজি সোনার একটি চালান আটক করা হয়েছে। কারা আটক করেছে এ চালান? খোঁজ নেয়া হয় খালিশপুরস্থ-৫৮ বিজিবিতে। বিজিবি জানায়, এমন কোনো চালান তারা আটক করেনি। জীবননগর থানা জানায় তারাও এমন কোনো চালান আটক করেনি। তবে আটক করলো কোন বাহিনী? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহেশপুর থানা পুলিশের একটি টিম হাসাদাহ বাজার হতে ইয়াবাসহ একজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। কাকে আটক করে নিয়ে গেছে? তারও কোনো নাম পাওয়া যায়নি। মেলেনি এর কোনো সত্যতা। ঘটনা যাই হোক তথ্য উদঘাটনে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে নেমেছে।

এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক জানিয়েছেন, হাসাদাহ হতে সোনা উদ্ধারের কোনো খবর তার জানা নেই। তার থানার পুলিশও এমন কোনো চালান আটক করেনি। তবে ঘটনা যদি সত্যি হয়, যে বাহিনীর সদস্যরাই করে থাকুন না কেনো তারা পার পাবে না বলে তিনি জানানা।