ডিঙ্গেদহ টবাজারটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের দখলে

 

অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসনের নোটিশ

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ডিঙ্গেদহ টবাজারটি দখল করে নিয়েছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে ডিঙ্গেদহ টবাজার থেকে অবৈধ দখল ও স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার জন্য সহকারী কমিশনার(ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন এ নোটিশ প্রদান করেন।

জানা গেছে, ডিঙ্গেদহ টবাজারটি ১৯৮৫ সালে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিকট থেকে টবাজারটি ইজারা গ্রহণ করেন এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। সেখানে ও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। ইজারা গ্রহণকারী ৯৭জন ব্যবসায়ীর নাম থাকলেও বাস্তবে তা নয়। এলাকার সচেতন মহল জানিয়েছে, প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী বিভিন্ন নামে ইজারা নিয়ে ৪/৫টি দোকান ভোগদখল করে আসছে। ফলে সাধারণ ব্যসায়ীরা বঞ্চিত হয়েছে। ইজারা গ্রহণের সময় শর্ত ছিলো ওই বাজারে ইজারা গ্রহণকারী কোনো পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। প্রথম পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা টিনের ও খড়ের চালা দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে ও পরবর্তীতে লিজের শর্ত ভঙ্গ করে আস্তে আস্তে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে নিয়েছেন। ব্যবসায়রা দীর্ঘদিন ধরে ডিসিআর না নেয়ার ফলে তাদের কাছে বাকি পড়ে থাকে সরকারের প্রায় কয়েক লাখ টাকা। ১৯৯৭ সালের ১২মে তৎকালীন এডিসি (রাজস্ব) মোহাম্মদ মোস্তফা বকেয়া ভাড়া জমা দেয়ার জন্য ৯৭জন ব্যবসায়ীর নিকট নোটিশ পাঠান। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ডিঙ্গেদহ টবাজারের শর্ত উপেক্ষা করে নির্মাণাধীন পাকাঘরগুলো উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে সফল হয়নি। টবাজারটিতে অবৈধভাবে পাকা ঘর নির্মাণের ফলে বাজারটিতে সরকারিভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

অবৈধ দখল ও পাকা স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার জন্য ৭দিন সময় বেধে দিয়ে গত ২১ এপিল সহকারী কমিশনার(ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন স্বাক্ষরিত নোটিশ প্রদান করেন। অন্যথায় দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর ডিঙ্গেদহ হাট ডাক হওয়ার কারণে ডাক গ্রহণকারীরা তাদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে খাজনা আদায় করে যাচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার সচেতনমহল। এছাড়াও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সরকারিভাবে শেড নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের মাঝে সমবণ্টন করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।