টেলিফোনটি এখনও বিকল

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন ধরেই বিকল হয়ে পড়েছিলো বিরোধী নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বাসার লাল টেলিফোন। দু নেত্রীর ফোনালাপ হয়েছে কিন্তু  সচল হয়নি সে বিকল টেলিফোন। সর্বশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন তিনি বিরোধীদলীয় নেতার কাছে টেলিফোন করবেন। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীও সে কথা বলেছেন কয়েকদিন ধরে। কিন্তু গতকাল দুপুরে একাধিকবার চেষ্টা করেও বিরোধী নেতার টেলিফোন সংযোগ পাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি জানার পর বিরোধী নেতার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে জানানো হয়, টেলিফোনটি বিকল পড়ে আছে। পরে বিকালে টিঅ্যান্ডটির গুলশান এক্সচেঞ্জ জোনের একজন প্রকৌশলী বিরোধী নেতার বাসায় যান। তারপরও টেলিফোনটি সচল হয়নি। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টায় বিরোধী নেতার একান্ত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মোবাইলে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা। দু নেত্রীর ফোনালাপের সময়ও বিকলই পড়েছিলো সে লাল টেলিফোন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে ফোন করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাকে ফোন দিয়েছিলাম। আমি রেড টেলিফোন থেকে নিজের হাতে ফোন করেছি। বারবার রিং হয়েছে। আমি দুঃখিত যে আপনি ধরতে পারেননি। জবাবে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই টেলিফোনটি বিকল। বারবার অভিযোগ করার পরও এটি ঠিক করা হয়নি। খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে বলেছেন, মৃত টেলিফোনে দীর্ঘ চেষ্টার চেয়ে তিনি আন্তরিক হলে আলাপের জন্য অন্য অনেক মাধ্যম ছিলো। বিকল টেলিফোনে চেষ্টা করা ঠিক হয়নি। যেহেতু তিনি প্রধানমন্ত্রী, তাই অন্তত আগে তার কর্মকর্তারা এসে দেখতে পারতেন ফোন ঠিক আছে কি না। যে সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, আমার লাল টেলিফোন সচল রয়েছে সে মিথ্যা বলেছে। লাল টেলিফোন নিয়ে মিথ্যাচারের দায়ে তিনি টিঅ্যান্ডটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন।

শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফোন ডেড, না কি ডেড করে রাখা হয়েছে, বলতে পারছি না। আগামীকাল আমি দেখব। এর আগে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ফোনালাপের আগেই তার বাসায় উপস্থিত সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দেখেন তো লাল ফোনটির কি অবস্থা। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক টেলিফোন সেটটি তুলে দেখেন সেটি বিকল। এ ব্যাপারে টিঅ্যান্ডটি’র গুলশান এক্সচেঞ্জ জোনের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার নাসিরউদ্দিন তালুকদার বলেন, বিরোধী নেতা খালেদা জিয়ার লাল টেলিফোন কতোদিন ধরে বিকল ছিলো আমাদের জানা নেই। আজ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে টেলিফোন লাইনটি সচল করা হয়। কি কারণে এতোদিন বিকল ছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ফোনালাপ শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিঙে বিরোধী নেতার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান অভিযোগ করে বলেন, লাল টেলিফোনটি দীর্ঘদিন থেকেই বিকল পড়ে আছে। সাংবাদিকদেরও বিরোধী নেতা সে টেলিফোনটি দেখিয়েছেন। কিন্তু টেলিফোনে বিরোধী নেতাকে পাওয়া যায়নি এমন একটি রাজনৈতিক প্রচারণা সরকারি দল থেকে চালানো হয়েছে। গত রাতে বিরোধী নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান ও একান্ত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস দৈনিক জানান, বিরোধী নেতার সাথে প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনালাপের পরও সচল হয়নি সে লাল টেলিফোন।