ঝিনাইদহে ২৩ জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মী আটক

 

ঝিনাইদহ অফিস: জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায় ঘিরে নাশকতা এড়াতে ঝিনাইদহে ২৩ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোর রাতে জেলার হরিণাকুণ্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, ঝিনাইদহ শহরে একজন, হরিণাকুণ্ডুতে থেকে ১৬ জন, কোটচাঁদপুর থেকে ৩ ও মহেশপুর ৩ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুরসহ নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ মামলা রয়েছে। আটককৃতদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জামায়াতের নায়েবে আমির মাও. দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায় ঘোষণার দিন হরিণাকুণ্ডুতে নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীগণ হলো হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার কারিকরপাড়ার আফিল উদ্দিন, বৈঠাপাড়ার মোতালেব মণ্ডল, দিগনগরের গিয়াস উদ্দিন ও পরবতীপুরের ডা. আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া আদর্শ আন্দুলিয়ার শরিফুল ইসলাম ও আবুল কাসেম, মাঠ আন্দুলিয়ার তফসের আলী, লক্ষ্মীপুরের ইসরাফ্রিল হোসেন, রামনগরের ইউনুচ আলী, ভবানীপুরের জমির উদ্দিন, ধূলিয়ার মঈনুদ্দীন, হরিশপুরের মোশারফ হোসেন, খলিসাকুণ্ডুর ছানোয়ার হোসেন, জোড়াদহের ফুরকান আলী, কাছারীতোলার গোলাম মোস্তফা, মণ্ডলতোলার আনিসুর রহমান এবং নিচতোলার নূরুল ইসলাম।

হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল কবীর চৌধুরী জানান, মাও. সাঈদীর আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন এলকায় বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে এ সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতারিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল মাও. সাঈদীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। এ রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত আহুত হরতালের দিন ৩ মার্চ হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ এলাকায় পুলিশের সাথে হরতাল সমর্থক জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সংঘর্ষে হরতাল সমর্থকদের হামলায় পুলিশ কনস্টেবল গাজী ওমর ফারুক নির্মমভাবে খুন হন। পুলিশ বাদী হয়ে এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে ২২০ জামায়াত-শিবির ও বিএনপি বলয়ের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে। সম্প্রতি এ চাঞ্চল্যকর হত্যামামলাটির চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে।