ঝিনাইদহে সিআইডি ক্যাম্পের নবনির্মিত ভবন উদ্ধোধন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন পিপিএম বলেছেন, পুলিশের ভালো কাজ সাধারণ মানুষের মাঝে আস্থা বৃদ্ধি করে। মানুষ আশান্বিত হয়। আর পুলিশ খারাপ কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থাও নেয়া হবে। এমনকি মামলা হবে, পুলিশকে জেলহাজতেও পাঠানো হবে। গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ জেলা সিআইডি ক্যাম্পের নবনির্মিত ভবন উদ্ধোধন শেষে পুলিশ অফিসার ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়সভায় সিআইডি প্রধান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্তের জন্য সিআইডিকে আরো আধুনিকরণ করা হয়েছে। জনগনের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির সার্বিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করা হচ্ছে। শনিবার সকালে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন সিআইডি যশোর-কুষ্টিয়া জোনের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম, কোটচাঁদপুরের সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক বিমল কুমার সাহা, মিজানুর রহমান ও মো. শহিদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার, সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলালসহ জেলার বিভিন্ন থানায় কর্মরত অফিসার ইনচার্জগন (ওসি) এবং ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকগণ। এর আগে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় নবনির্মিত সিআইডি ক্যাম্প অফিসের ফলক উন্মোচন করেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন। গণপূর্ত বিভাগ ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয় ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করে সিআইডির এ নতুন ক্যাম্প অফিস নির্মাণ করে।

শেখ হিমায়েত হোসেন জানান, পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে দেশের ৪৫টি জেলায় নতুন ভবন নির্মাণ করে সিআইডির ক্যাম্প অফিস স্থাপন করা হয়েছে। এতে জটিল মামলাগুলো ডিটেক্ট করতে সহজ হবে। তিনি বলেন, সিআইডি ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, রানা প্লাজা, যশোরের উদীচীসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় তদন্ত কাজে সাফল্য এনেছে। সিআইডি সাইবার ক্রাইম ও ডিএনএ ল্যাব এর মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।