ঝিনাইদহে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে জেল ও জরিমানা প্রদান

রোগী দেখা অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
প্রতিনিধি ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়মিত ডাক্তার মনিরুজ্জামানের নামের পাশে একাধিক ডিগ্রি থাকায় রোগীরা জানতো ডাক্তার মহাশয় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ৩শ’ টাকা ভিজিট ও সাথে বিভিন্ন টেস্ট দিয়ে বিল করা হতো হাজার টাকার ওপরে। খোদ শহরের ওপর মাইকিং করে চলতে থাকে কথিত এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রচারণা। হতদরদ্রি রোগীরা মাত্র ৩শ’ টাকার ভিজিটের জন্য ছুটে আসতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামানের কাছে। কিন্তু বিধি বাম। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন হাটখোলায় জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অবস্থিত ডাক্তারের চেম্বারে আকস্মিক ঢুকে পড়েন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির। সাথে ছিলেন ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা, মেডিকেল অফিসার ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ ও ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক নাজমুল হাসান। তারা কথিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনিরুজ্জামানের কাছে বেধ কাগজপত্র চান। এ সময় তিনি কিছুই দেখাতে পারেননি।
ভ্রম্যমাণ আদালতের কাছে ভুয়া ডাক্তার মনিরুজ্জামান স্বীকার করেছেন ডাক্তারি করার জন্য তার কোন ডিগ্রি বা যোগ্যতা নেই। ভুয়া এমবিবিএস, পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেনিং ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে তিনি এতোদিন রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ভুয়া চিকিৎসক মনিরুজ্জামানকে ৩ মাসের কারাদ- ও ১৫ হাজার এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুধীর বিশ্বাসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভুয়া চিকিৎসক মনিরুজ্জামান যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, শহরের ওপর সাইনবোর্ড ও ক্লিনিক খুলে এমন প্রতারণা দেখে আমি হতবাক হয়েছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ক্লিনিক মালিক সুধীর বিশ্বাস এসব অপকর্মের মূল নায়ক। তার আরও বেশি শাস্তি হওয়া দরকার ছিলো।