ঝিনাইদহে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১৪ জন আহত

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ পৌর এলাকার কালিকাপুর গ্রামে গতকাল সোমবার দুপুরে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে নৌকা প্রতীকের চার সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন আওয়ামী লীগ কর্মী কালিকাপুর গ্রামের রব্বানী মণ্ডলের ছেলে কামরুল ইসলাম, মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আবু বকর, বাবর আলীর ছেলে নাজিরুল ও আব্দুল গফুরের ছেলে শরিফুল ইসলাম।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার জানান, গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে ঝিনাইদহ-২ আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্রপ্রার্থী সমি সিদ্দিকীর সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী সফিকুল ইসলাম অপুর সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকরা জোটবদ্ধ হয়ে হামলা চালালে নৌকা প্রতীকের চার সমর্থক আহত হন। গ্রামবাসী তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছিলো বলে থানার ডিউটি অফিসার এএসআই ফরহাদ জানান। এদিকে ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন কোর্টপাড়ার ওমর আলীর ছেলে মিলন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছে, মহেশপুর উপজেলার মগদাসপুর গ্রামে নির্বাচনের পরে সহিংসতায় জামায়াত-বিএনপির হামলায় মহিলাসহ ১০ জন আহত হয়েছে।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় ভোট দেয়ার অভিযোগ এনে জামায়াত-বিএনপির কর্মীরা আ.লীগের কর্মীদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তাদেরকে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- মগদাসপুর  গ্রামের আপেল উদ্দীনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩২), হায়দার আলীর স্ত্রী আজমীরা খাতুন (৩৫), মৃত জহুর আলীর ছেলে আপেল উদ্দীন (৬০), মনিরুজ্জামানের স্ত্রী নাসিমা খাতুন (৩৫), আপেল উদ্দীনের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫০), কালু মণ্ডলের ছেলে হায়দার আলী, আব্দুল কাদেরের স্ত্রী সেনেহার (৫০), লেবুতলা গ্রামের কালু মণ্ডলের ছেলে ফজলু ও আব্দুল লতিফের ছেলে ইব্রাহিম।

এ বিষয়ে  স্থানীয় মেম্বার মহি উদ্দিন জানান, তাদের নিজ কেন্দ্রে ভোট বেশি পোল হয়েছে বিধায় জামায়াত-বিএনপির কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই হামলা চালায়। মহেশপুর থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, থানায় এখনও কেউ মামলা করেনি। তবে শুনেছি আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহ-৩ আসনের বেসরকারিভাবে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান।