ঝিনাইদহে ডিবি পুলিশের ধাওয়ায় গাছের সাথে ধাক্কা ” যুবক নিহত : পুলিশের দাবি দুর্ঘটনা

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের বাড়িবাথান নামক স্থানে বাবলুর রহমান নামের এক ওষুধ ব্যবসায়ী মোটরসাইকলেসহ গর্তে পড়ে নিহত হয়েছেন। স্বজনদের দাবি ডিবি পুলিশের ধাওয়া খেয়ে গাছের ডালের সাথে ধাক্কা লেগে বাবলু নিহত হয়েছেন। পুলিশ স্বজনদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

নিহত বাবলু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বানিয়াকান্দর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ঝিনাইদহ গান্না সড়কের বাড়িবাথান এলাকায় আমিরুল মাস্টারের বাড়ির কাছে। ঝিনাইদহের সদর উপজেলার জামতলা বাজারে নিহত বাবলুর একটি ওষুধের দোকান আছে।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় সাদা পোশাকের ডিবি পুলিশ ওই সড়কে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছিলো। এ সময় বাবলু জামতলা বাজার থেকে ঝিনাইদহে আসছিলো। সামনে সাদা পোশাকের পুলিশ ইন্দিরার মোড়ে মোটরসাইকেল ধরছে এমন দৃশ্য দেখে বাবলু দ্রুত নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে আসছিলো। তাদের ভাষ্য ডিবি পুলিশও পিছু নেয় বাবলুর।

এক পর্যায়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে গর্তে পড়ে যায় ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুপুর মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসক নুপুর জানিয়েছেন, বাবলুর মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেটা লাঠি না অন্য কিছু তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।

বাবলুর ভগ্নিপতি যাদবপুর গ্রামের মসিউর রহমান জানান, বাবলুর মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ছিলো না। কাগজ করতে বেশ কয়েকদিন বিআরটিএ অফিসে ঘুরছিলো। তিনি শুনেছেন সাদা পোশাকের পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বাবলু দ্রুত পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, ঘটনার সময় পুলিশ সেখানে নাম্বার প্লেট বিহীন মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পরীক্ষা করছিলো। এ সময় বাবলু পুলিশ দেখে দ্রুত পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে নিহত হন। পুলিশ তাকে ধাওয়া বা লাঠি দিয়ে আঘাত করেনি বলে তিনি দাবি করেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় বাবলুর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তাকে ধাওয়া করেনি।