ঝিনাইদহে অপহরণ নাটক :হয়রানির শিকার এক আওয়ামী লীগ নেতা

 

 

ঝিনাইদহ অফিস: অপহরণ নিয়ে দেশের মানুষ যখন উৎকণ্ঠিত তখন কেউ কেউ শুরু করেছে অপহরণ নাটক। ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুরে মিথ্যা অপহরণ মামলায় জড়িয়ে ছমির উদ্দীন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ঝিনাইদহ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালিকাপুর গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে। তার ছোটভাই জনিও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এমন ঘটনা সাজানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ছমির উদ্দীনের পরিবার।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শহরের মহিলা কলেজপাড়ার আবদুল মজিদের স্ত্রী রহিমা খাতুন তার মেয়ে আখি খাতুনকে অপহরণের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ৪ জুন ঝিনাইদহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় কালীকাপুর এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা ছমির উদ্দীন ও ছোট ভাই জনিকে আসামি করা হয়। বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার বিবাহিত মেয়ে আখি খাতুনকে ফুঁসলিয়ে দিয়ে গুম করেছে আসামিরা। কিন্তু এলাকার বিএনপি-জামায়াত নেতাদের ইন্ধনে অপহরণের এমন নাটক সাজানো হয়েছে বলে ছমির উদ্দীনের ছেলে রাশেদ অভিযোগ করেন। রাশেদ বলেন, গত ১২ জুন এ মামলায় তার পিতা ছমির উদ্দীনকে পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এরই মাঝে কথিত অপহরণের শিকার আখি খাতুন আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি দেন, মায়ের সাথে রাগারাগি হওয়ায় তিনি ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। জবানবন্দি দেয়ার পর আদালত ছমির উদ্দীনের জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু এরই মাঝে এ মিথ্যা মামলায় তিনি ১৩ দিন জেলহাজতে ছিলেন। ছমির উদ্দীনের পরিবার এই অপহরণ নাটকের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝিনাইদহ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোকুল চন্দ্র জানান, প্রাথমিকভাবে অপহরণের ঘটনা মনে হওয়ায় একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়। পরবর্তীতে আখি খাতুন আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ায় মূল রহস্য বেরিয়ে এসেছে। মূলত মায়ের ওপর অভিমান করে আখি বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলো। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে এমন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।