জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভারত থেকে ফিরছেন আজ

প্রতিপক্ষের হামলায় জখম জনিকে রাজশাহী থেকে চুয়াডাঙ্গায় নেয়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রতিপক্ষের হামলায় জখম জনিকে রাজশাহী থেকে ফিরিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তার অবস্থার উন্নতি ঘটায় গতকাল তাকে রাজশাহী থেকে চুয়াডাঙ্গায় নেয়া হয়। তবে হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব অনুভবে রাতে তাকে অন্য স্থানে নেয়ার প্রক্রিয়া করে নিকজনেরা।

গতপরশু চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের দু পক্ষ পাল্টিপাল্টি অবস্থান নিলেও গতকাল রোববার ছিলো শান্ত। তবে উভয়ের মধ্যেই টানটান উত্তেজনা বিরাজ করেছে। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ভারত থেকে আজ দেশে ফিরছেন। তাকে দর্শনা সীমান্তে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহকারে সংসদ সদস্যকে চুয়াডাঙ্গায় নেয়া হতে পারে। পুলিশও সকল প্রকারের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার গোলাম সরোয়ারের ছেলে জনি জেলা ছাত্রলীগের একাংশের সমর্থক। গত ৩০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সিনেমহালপাড়ার রাস্তায় তাড়িয়ে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলেও অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মন্তব্য করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। সেখানে নেয়ার পর সিটি স্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর অবস্থার উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। ফলে গতকাল তাকে চুয়াডাঙ্গায় ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

অপরদিকে জনির ওপর হামলার পর ওই রাতেই চুয়াডাঙ্গা ইমার্জেন্সি সড়কস্থ রাজুর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। রাজু সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক। পরদিন শনিবার সকাল থেকেই চুয়াডাঙ্গায় উভয়পক্ষ পাল্টা পাল্টি অবস্থান নেয়। তাদের মহড়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। ছাত্রলীগ নেতা হাসানের আরামপাড়াস্থ বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুটি মোটরসাইকের ভাঙচুর করা হয়। তার বোন ও স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও অভিযোগ করেন হাসান। মাছের আড়তপট্টির মৎস্য শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। বিকেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুল আবেদীন খোকন চুয়াডাঙ্গায় পথসভা করবেন খবরে উত্তেজনা নতুন মোড় নেয়। এক পক্ষ শহীদ হাসান চত্বরের অদূরবর্তী বেঙ্গল টাউয়ারের নিকট অবস্থান নেয়, অপর পক্ষের অবস্থান হয় পৌর ও একাডেমী মোড়ে। দু পক্ষই দু পক্ষের দিকে রুখতে গেলেও পুলিশি হস্তক্ষেপে অবশ্য বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। এসব ঘটনা চুয়াডাঙ্গা শহরকে উত্তপ্ত করে তোলে। ছড়ায় আতঙ্ক। গতকালও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কায় অনেকের মাঝেই আতঙ্ক ছিলো। তবে তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। জনির ওপর হামলা মামলার কোনো আসামিকে পুলিশ যেমন গ্রেফতার করতে পারেনি, তেমনই রাজু ও হাসানের বাড়িতে হামলার সাথে জড়িত তেমন কাউকে ধরেনি পুলিশ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজ দেশে ফিরলে বিরোধের নিস্পত্তি ঘটবে নাকি ঘটনার নতুন মোড় নেবে তা অবশ্য নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ। অনেকেরই অভিমত, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দক্ষতার সাথেই তিনি চুয়াডাঙ্গাকে যেভাবে শান্ত রেখেছেন সেভাবেই তিনি শান্তিরই বার্তা দেবেন।