জুমার নামাজে মুসল্লিদের ঢল

স্টাফ রিপোর্টার: ধর্মপ্রাণ লাখো মুসল্লির এবাদত বন্দেগিতে আবার মুখর টঙ্গীর তুরাগ তীর। প্রথম পর্বের মতো গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। অবরোধ, হরতাল, শীত উপেক্ষা করে তুরাগ তীরে গতকাল জুমার নামাজ আদায় করার জন্য রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের জেলা এমনকি দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে নানা বয়সী মানুষ। দীর্ঘপথ হেঁটে আসেন অনেকে। তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না ১৬০ একর জমিতে তৈরি করা বিশাল ছাউনির নিচে। জুমার নামাজ শুরুর আগ পর্যন্ত পুরো ইজতেমা স্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। নামাজের কাতার ছাপিয়ে যায় নদীর তীর, সড়ক, মহাসড়ক, মনদীর ব্রিজের পর। এমনকি যানবাহনের ওপরও। বহু মুসল্লিকে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় খবরের কাগজ, পলিথিন বিছিয়ে নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।

গতকাল ইজতেমা ময়দানে বিশাল জুমার নামাজের ইমামতি করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের। গতকাল জুমার নামাজে শরিক হন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নূরুল ইসলাম, পলিশ সুপার মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ পিপিএমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

জুমার নামাজে মুসল্লিদের ঢল: ইজতেমার প্রথম দিনেই ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় দেশের স্মরণকালের বৃহত্তম জুমার নামাজ। আয়োজকদের ধারণা, আনুমানিক ১০-১২ লাখ মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেছেন। বাদ জুমা বয়ান করেন বাংলাদেশের তাবলিগ মুরব্বী মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন। গতকাল ফজরের নামাজের পর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের কার্যক্রম শুরু হয়। বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা ইসমাইল হোসেন গোদরা। বয়ানের বাংলা তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা নূরুল রহমান। উর্দু ও আরবিতে পরিবেশিত এ বয়ান সাথে সাথেই বাংলায় তরজমা করা হয়। তিনি তাবলিগের উসুল এবং ইসলামে তাবলিগের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

দ্বিতীয় পর্বে গতকাল শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ইসমাইল হোসেন গোদরা, বাদ জুমা ভারতের মাওলানা মোহাম্মদ জোয়াহের হোসেন, বাদ আছর ভারতের হযরত মাওলানা মুহাম্মদ মূসা ও বাদ মাগরিব ভারতের হযরত মাওলানা সা’দ বয়ান করছেন বলে জানান বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার মো. গিয়াস উদ্দিন।

বয়ানে বিশিষ্ট আলেমগণ বলেন, পরকালের চিরস্থায়ী সুখ শান্তির জন্য আমাদের প্রত্যককে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে কঠিন মেহনত করতে হবে। ঈমান আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব হতে পারবে না।