জীবননগর সেনেরহুদার আরিফকে কুপিয়ে খুন করে পালানো তোতা ধরা পড়েনি

যখন চলছে ময়নাতদন্ত তখনও পিতা জানেন ছেলে বেঁচে আছে!

 

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর উথলী সেনেরহুদার আরিফুল ইসলাম আরিফের মৃতদেহ যখন ময়নাতদন্ত চলছে তখনও তার পিতা আজির বকশকে জানানো হয়নি নিহত হওয়ার খবর। তিনি জানতেন ছেলে আহত হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পিতার মন মানেনি। তাই তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন। ছেলেকে দেখতে চাইলে তার নিকটজনেরা বলেন, ওপরে চিকিৎসা চলছে। এখন দেখানো যাবে না। অথচ তখন চলছিলো ময়নাতদন্ত।

ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার আগেই বুঝিয়ে সুজিয়ে বাড়ি পাঠানো হয় তাকে। বাড়ি ফেরেন। যখন লাশ নেয়া হয় বাড়িতে তখন? কীভাবে সামলেছেন পিতাকে? সন্তানের লাশ পিতার ঘাড়ে ভারী হলেও তাকে বহন করতে হচ্ছে ছেলে হারানো শোক। বলতে হচ্ছে, আর কোনো পিতাকে যেন এভাবে সন্তান হারানো কষ্টের বোঝা বয়তে না হয়।

গতপরশু রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের উথলী সেনেরহুদার একটি চা দোকানের সামনে একই গ্রামের সামিরুল ইসলামের ছেলে তোতার ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন আরিফ। তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। গতকাল দুপুরে হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

অপরদিকে ঘটনার পর থেকে পুলিশ তোতাকে ধরতে অভিযান শুরু করলেও গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। নিহত আরিফের স্ত্রী দু সন্তানের জননী বাদী হয়ে জীবননগর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় তোতা ও তার পিতা সামিরুলকে আসামি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টসূত্র জানিয়েছে। গতকালই নিজ গ্রামে আরিফের দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সন্তান হারানো শোকে কাতর পিতা আজির বকশ ও ৫ বছর বয়সী বড় মেয়ে মরিয়মসহ পরিবারের সদস্যদের প্রায় সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।