জীবননগর দেহাটি কাজলার খালে গোসলকরতে গিয়ে স্কুলছাত্রের করুণ মৃত্যু

 

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের দেহাটি কাজলার খালে পানিতে ডুবে কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের করুণ মৃত্যুহয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে গ্রামবাসী। এ অপমৃত্যুর জন্য স্বজনরা দেহাটি পিয়াস ব্রিক্সের মালিক আকুল হোসেনকে দায়ী করছেন। লাশ উদ্ধার করার পর কাশিপুর ফুটবল খেলার মাঠে রাখা হলে তার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। ছোট ছেলেকে হারিয়ে পিতা-মাতা ও ভাইকে হারিয়ে ভাই-বোন বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলো।

জানা গেছে, উথলী ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে রিয়াজ আহম্মদ (১৫) কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। সে গতকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে গ্রামের পার্শ্ববর্তী দেহাটি কাজলার খালে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যায়। সে রোজায় ছিলো। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি শুরু করে। পরিবারের সদস্যরা এতথ্য জানিয়ে বলেছেন, অনেক খোঁজাখুজির পর কোথাও না পেয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার লাশ কাজলার খালে গভীর পানির মধ্যে মাটিতে মুখখুশা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। লাশ রাখা হয় কাশিপুর ফুটবল খেলার মাঠে। খবর পেয়ে তার লাশ দেখার জন্য উৎসুক নারী-পুরুষ ভিড় জমায়। স্বজনরা তার লাশ দেখে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, এ অপমৃত্যুর জন্য দেহাটি পিয়াস ব্রিক্সের মালিক আকুল দায়ী।

সরকারি খাল অবৈধভাবে দখল করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ইটভাটার মাটি তুলে প্রায় ২০ ফুট গভীর করায় গোসল করতে গিয়ে মারণফাঁদে আটকে পড়ে ছেলেটির এ অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। লাশের মুখ দিয়ে অনর্গল রক্ত ও নাক দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিলো। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ইতঃপূর্বে কাজলার খালে দুর্ঘটনায় কয়েকজন রক্ষা পেলেও স্কুলছাত্রের অকাল মৃত্যু ঘটলো।

এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রিয়াজ হোসেনের লাশ খেলার মাঠে রাখা ছিলো। চলছিলো মামলার প্রস্তুতি। পুলিশ তদন্তের পর আজ বৃহস্পতিবার তার লাশ দাফন করা হবে। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম ইকবাল আহম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাথাভাঙ্গার এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কেউ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেননি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। এদিকে পিয়াস ব্রিক্সের মালিক আকুল হোসেন খালটি সরকারি সম্পত্তি নয়, ওটা আমার নিজস্ব জমি বলে দাবি করেছেন।