জীবননগর কাশিপুরের আব্দুল কুদ্দুছ মেম্বারের প্রতারণা : সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ!

 

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউপি সদস্য কাশিপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দরিদ্র এক কৃষকের দেড় বিঘা জমি বিক্রি করে সাড়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বেকার ছেলে তামিম হোসেনের চাকরি না হওয়ায় দরিদ্র কৃষক জিয়াউর রহমান ওই টাকা ফিরে পেতে প্রতারক আব্দুল কুদ্দুছের নিকট দেড় বছর ধরে ঘুরে টাকা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান অভিযোগ করে বলেছেন, তার ছেলেকে সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুছ তার নিকট থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এ টাকা তিনি তার একমাত্র সম্বল চাষের দেড় বিঘা জমি বিক্রিসহ আত্মীয়স্বজনদের নিকট ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দেন। গত বছরের ২৩ মার্চ আব্দুল কুদ্দুছ তামিমকে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যায় এবং তার হাতে সৈনিক পদে যোগদানের নিয়োগপত্র তুলে দেয়। ২৭ আগস্ট যোগদান করতে গেলে তামিম জানতে পারে তার নিয়োগপত্রটি ভুয়া। ফলে যোগদানের পূর্বেই সে বাড়ি ফিরে আসে এবং প্রতারিত হওয়ায় কথা সকলকে খুলে বলে। কুদ্দুছ মেম্বার বিপদ থেকে বাঁচতে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলেন; কিন্তু দেড় বছর ধরে টাকা না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুছের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জিয়াকে টাকা ফেতৎ দিতে চাচ্ছি; কিন্তু সে টাকা ফেরত না নিয়ে এখন অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগকারী জিয়া জানান, শেষ সম্বল বিক্রি করে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলাম, এখন মাত্র ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে বলছেন। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, এটা কি সম্ভব? আমি আমার পুরো টাকা ফেরতসহ প্রতারক কুদ্দুছ মেম্বারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।