জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে ও তার স্ত্রীকে হত্যার তারিখ ঘোষণা দিয়ে কাফন কেনা টাকা প্রেরণ

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মোর্তুজাকে সপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়ে একের পর চিঠি দেয়ার পর এবার তার ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীকে হত্যার তারিখ ঘোষণা করে কাফনের কাপড় কেনার টাকা পাঠানো হয়েছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ও ভিলেজ ডিফেন্স পার্টির কড়া প্রহরার মধ্যে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এ চিঠি ও টাকা উপজেলার মিনাজপুর গ্রামস্থ তার বাসভবনের বারান্দায় রেখে যায়। পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করার হুমকি দিয়ে একের পর চিঠি ও সর্বশেষ কাফন কেনার টাকা পাঠানোতে চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পরিবারটি।

উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা অভিযোগ করে বলেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদল তাকে সপরিবারের হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়িতে চিঠি রেখে যায়। এ ঘটনার পর গত ৯ নভেম্বর রাতে বাড়িরে চারিদেকে কেরোসিন ঢেলে তাদেরকে সপরিবারে পুড়িয়ে মারার অপচেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাড়ির লোকজন তা টের পেলে দুর্বৃত্তদল পালিয়ে গেলে পরিবারের লোকজন পুড়ে মরার হাত থেকে রেহাই পায়। এ অবস্থায় রাত হলে পুলিশ ও ভিলেজ ডিফিন্সপার্টি তার বাড়ির আঙিনায় পাহারা বসাচ্ছে। বাড়ি পাহারা চলাকালে গত ১১ নভেম্বর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদল আবারও তার বাড়িতে চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দেয়। পাহারা দিয়েও তাদেরকে কেও বাঁচাতে পারবে না বলে ওই চিঠিতে হুমকি দেয়া হয়। এ অবস্থার মধ্যে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবারও দুর্বৃত্তদল তার বাড়িতে চিঠি ও টাকা রেখে যায়। চিঠিতে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে ‘আগামী ২৫ নভেম্বর তার ছোট ছেলে শাওন ও তার নববিহাহিত স্ত্রী শ্রবান্তীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হবে। এমনভাবে মারা হবে যে তুমি তোমার সন্তানের লাশ দেখেও তাদেরকে চিনতে পারবে না। লাশ বিভৎস করে দেয়া হবে। তাকে হত্যার পর আমরা তোমার ছেলে ও বউমার জানাজায় শরিক হবো। পারলে আমাদেরকে চিনে নিও। এরপর আগামী ১৫ ডিসেম্বর তোমার বড় ছেলে, বউমা ও নাতি ছেলেকে হত্যা করা হবে। এ সবই করা হবে তোমাকে চরম কষ্ট দেয়ার জন্য। শেষে তোমার স্ত্রী ও সবশেষে তোমাকে হত্যা করা হবে।’ একের পর এক চিঠি দেয়ার পর পুলিশের একটি টিম রাতে তার বাড়ি পাহারা দিচ্ছে। পাহারা বসিয়েছে ভিলেজ ডিফেন্স পার্টিও। কিন্তু তার পরও হুমকি ও বাড়িতে চিঠি দিয়ে যাওয়ার ঘটনা বন্ধ না হওয়াতে উপজেলা চেয়াম্যান ও তার পরিবার চরমভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।