জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ায় প্রবাস ফেরত আনোয়ার হোসেনের অকাল মৃত্যূ

 

নারায় ভৌমিক:বেকারত্বর অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে নিজ ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে স্বপ্ন আর বুকভরা আশা নিয়ে ৭ বছর পূর্বে সুদূর সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে পাড়ি দেন জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া খালপাড়ার আনোয়ার হোসেন। দীর্ঘ ৭ বছর পর চলতি বছরের ফ্রেরুয়ারি মাসে বাড়িতে ফিরে দুমাস পর ফের পাড়ি দেন তার কর্মস্থলে।গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার কর্মস্থলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অকাল মৃত্যুহয়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যসহ স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতাম। কবে নাগাদ তার লাশ দেশে ফিরবে এ অনিশ্চয়তায় অপেক্ষার প্রহর গুনছে পরিবারের সদস্যসহ তার সহপাঠি ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রতিদিন স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা বাড়িতে গিয়ে শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে সান্ত্বনা দিচ্ছে। কিছুতেই সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছে না পরিবারের সদস্যসহ তার বন্ধু মহল। যে সংস্কৃতি কর্মী আনোয়ার হোসেন সদা সর্বদায় হাসি খুশি মন নিয়ে এলাকায় খেলাধুলা, গান, নাটক ও যাত্রাপালায় অভিনয় করে সকলকে মাতিয়ে রাখতো সেই হাস্যোজ্জ্বল মুক্ত মনের মানুষটির মৃত্যুর খবর পেয়ে যেনো বন্ধুমহলও মুচড়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া খালপাড়ার মৃত আমির হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৮)প্রায় ৭ বছর আগে বেকারত্বর অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে সুদূর সৌদি আরবের রিয়াদে পাড়ি দেন। সেখানে দীর্ঘ ৭ বছর চাকরি করার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি বাড়ি ফেরেন। দু’ছেলে এক মেয়ের জনক আনোয়ার হোসেন বাড়িতে ফিরে ২তলা বিশিষ্ট পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ঘরের কাজ অসমাপ্ত রেখে মালিকের নিকট বকেয়া বেতন ৩ লাখ টাকা পাওনা আদায়ের আশায় গত মে মাসের ১ম সপ্তার দিকে তিনি ফের সৌদি আরবের রিয়াদে পূর্বের কর্মস্থলে যোগদান করেন। সেখানে কর্মরত অবস্থায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তার সহকর্মীরা বাড়িতে খবর দেয়।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, শোকার্ত বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ স্বজনদের প্রিয়জন হারানোর আহজারি।