জীবননগরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে আবারও গাছ ফেলে ডাকাতি

মোটরসাইকেল মিশুক চালক আরোহীদের আটকে মারধর ॥ পুলিশ দেখে ডাকাতদলের প্রস্থান
স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে আবারও গাছ ফেলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। গতরাত ৯টার দিকে সড়কে পুলিশ বক্সের অদূরেই গাছ ফেলে ডাকাতি শুরু করে ১২-১৪ জনের একদল ডাকাত। আন্দুলবাড়িয়া, নিশ্চিন্তপুর ও ডুমুরিয়ার তিনজনসহ বেশক’জনকে ডাকাতদল আটকে ডাকাতি করার পাশাপাশি কয়েকজনকে মারধরও করেছে। ডাকাতির একপর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতল পালিয়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেরার সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে মাঝে মাঝেই ডাকাতি হয়। ছিনতাই ডাকাতি রোধে সড়কের সন্তোষপুরের অদূরেই পুলিশ বক্স করা হয়েছে। অবাক হলেও সত্য যে, ওই বক্সে টহল পুলিশ পৌঁছুনোর আগেই সেখানে গাছ ফেলে একদল ডাকাত তা-ব শুরু করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়ার দাদা ভাই ফিস সাপ্লাইয়ার্সের কর্মচারী নিশ্চিন্তপুরের ইয়াসিন আলী (৩০), আন্দুলবাড়িয়ার এরশাদ আলী ফড়িঙের ছেলে নয়ন (২৪) ও আন্দুলবাড়িয়া বাজারের মোবাইলফোন কম্পিউটারের দোকানি ডুমুরিয়ার রাজু আহমেদ একটি মোটরসাইকেলযোগে আন্দুলবাড়িয়ায় ফিরছিলেন। দামুড়হুদা থেকে টাকা আদায় করে ফেরার পথে সন্তোষপুর মোড়ের অদূরেই পুলিশ বক্সের নিকট সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করা ডাকাতদলের কবলে পড়েন এরা। নয়নের নিকট থেকে ৪ হাজার ১শ, ইয়াসিনের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকাসহ মোবাইলফোন ডাকাতি করে। সেখানে কেরুর এক ড্রাইভারসহ দুটি মিশুক চালক আরোহীও একই ডাকাতদলের কবলে পড়ে ডাকাতির শিকার হয়। তবে এদের নিকট থেকে কতোটাকা ডাকাতি করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি। ডাকাতদল এদের প্রায় সকলকেই কম-বেশি মারধর করে রাস্তার পাশে বাঁধতে শুরু করে। এর একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছুলে ডাকাতল সকলকে ছেড়ে দ্রুত সটকে পড়ে।
আমাদের আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ডাকাতল সড়কে গাছ ফেলে বেশক’জনকে আটকে ডাকাতি শুরু করে। পুলিশ দ্রুত পৌঁছুনোর কারণে ডাকাতদল সকলের নিকট থেকে টাকা ডাকাতি করতে পারেনি। ইয়াসিনের কাছে ৭০ হাজার টাকা ছিলো বলে জানা গেছে। তিনি পরে বলেছেন, ডাকাতল টাকা নিতে পারেনি। ডাকাতির পর পুলিশ এলাকায় জোর অভিযান শুরু করেছে।