জীবননগরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে চিহ্নিত ছিনতাই স্পটে আবারও গণছিনতাই

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি/জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে একতারপুর রাস্তার নিকট চিহ্নিত ছিনতাই স্পটে আবারও গণছিনতাই হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে ছিনতাইকারীরা রাস্তায় গাছ ফেলে মাইক্রো, মিশুক ও ট্রাকের গতিরোধ করে যাত্রী সাধারণকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লক্ষাধিক টাকা ও ২০টি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে এবার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানও রক্ষা পাননি। তার পরিচয় পেয়ে তাকে অপহরণ করার চেষ্টা চালায় ছিনতাইকারীরা।

জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার গত সোমবার রাতে মাইক্রোবাসযোগে দর্শনায় সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের বাসভবনে সাক্ষাত করতে যান। রাত ১২টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে একতারপুর ছিনতাই স্পটের নিকট পৌঁছুলে ছিনতাইকারীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নিয়ে সকলকে আটকে রাখে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইউপি চেয়ারম্যানের পরিচয় পেয়ে ছিনতাইকারীদল তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে অপহরণ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম, কর্চাডাঙ্গা গ্রামের লোকমান হোসেন ও ডুমুরিয়া গ্রামের কলা ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন তোফা মিশুকযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ছিনতাইকারীরা একই কায়দায় তাদেরকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীরা সন্তোষপুর অভিমুখী একটি ট্রাকের গতিরোধ করে চালক ও তার হেলপারের নিকট থেকে টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। প্রায় দু’ঘণ্টা সবাইকে আটক রাখার পর শাহাপুর টহল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। কাচাঁমাল ব্যবসায়ী জহুরুল খাঁন ক্ষোভের সাথে বলেন, পুলিশ ইচ্ছা করলে উপস্থিত জনতাকে সাথে নিয়ে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে আটক করতে পারতো। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কে একের পর এক ছিনতাই সংঘটিত হলেও পুলিশ এ পর্যন্ত ছিনতাইকারীদলের কোনো সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঈদকে সামনে রেখে ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করায় জনমনে ছিনতাই আতঙ্ক বিরাজ করছে।