জামায়াত-শিবিরের ভয়ঙ্কর নাশকতার ছক ৪৩ জেলায়

 

স্টাফ রিপোর্টার: অবরোধের সুযোগে ভয়ঙ্কর নাশকতা চালানোর ছক বাস্তবায়নে নেমেছে জামায়াত-শিবির। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে তারা ৪৩ জেলাকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছে। এরই মধ্যে কয়েকটি জেলায় হামলাও চালানো হয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য এখন বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব, পুলিশ স্টেশন, রেলপথ, ব্রিজ-কালভার্ট। পুলিশ-র‌্যাব ও গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা ঢাকায় অবস্থান নেয়ার চেষ্টা চালাবে। আর এ কাজে সহায়তা করবে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো। শিবির ক্যাডাররা মোবাইলফোনে এসএমএসের মাধ্যমে এ বিষয়ে শলাপরামর্শ ও পরিকল্পন করছে। সরকারের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর সরকারের নীতিনির্ধারকরা নড়েচড়ে বসেছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থেকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। রাতের বেলায় গ্রাম পুলিশের টহলও বাড়ানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরে জরুরি বৈঠক করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। টার্গেট হওয়া ৪৩ জেলায় নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি শিবির ক্যাডারদের ধরতে অভিযান চলছে। নাশকতা প্রতিরোধে থানা ও জেলা পর্যায়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে বিশেষ দিকনির্দেশনা পৌঁছানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের কাছে তথ্য এসেছে, অবরোধের আড়ালে শিবির ক্যাডাররা বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে। বিএনপির ছত্রচ্ছায়ায় শিবির বিভিন্ন যানবাহনে পেট্রোলবোমা মেরে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।