জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পুরস্কার প্রতিযোগিতায় রজনী সারাদেশে ৩য়

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: তমা বিশ্বাসের স্বর্ণপদক বিজয়ের পর এবার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পুরস্কার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সারাদেশে ৩য় স্থান অর্জন করে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার পেয়েছে। আলমডাঙ্গা পল্লি রায়সা গ্রামের মাছব্যবসায়ী লিটন আলীর মেয়ে কলাকেন্দ্রের শিক্ষার্থী রজনী খাতুন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশাত্ববোধক গানে সে এ পুরস্কার লাভ করে। গীতিকার ও সুরকার মরহুম খান আতার  বিখ্যাত ‘হায়রে আমার মন মাতানো দেশ’ গানটি গেয়ে সে সকলের মন মাতিয়ে এ গৌরব অর্জন করে।

ইতোপূর্বে সে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার সাপেক্ষে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পায়। গত বছর বিটিভির রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় রজনী খাতুন সারাদেশে লালন গীতিতে ২য় ও নজরুল সঙ্গীতে ৩য় হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের সঙ্গীত ও নৃত্যের প্রশিক্ষক হিসেবে এসএম সেলিম ও তবলাসহ বাদ্যযন্ত্রের প্রশিক্ষক সুশীল কর্মকার তার গানে সঙ্গ দিতে যান। এ অনন্য স্বীকৃতিতে  জেলার অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক সংগঠন আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্র তার গৌরবের ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে।

আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্র বেশ কয়েক বছর ধরে খুলনা বিভাগে শ্রেষ্ঠত্বের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। এ বছর জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় সারাদেশে ১ম হয়ে গত ২১ জানুয়ারি তমা বিশ্বাস প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের হাত থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। এছাড়াও ঝর্ণা খাতুন একই প্রতিযোগিতায় ভাব সঙ্গীতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ১ম স্থান ও খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে ২য় স্থান অধিকার করেছে। কয়েকদিন পর সেও জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ঢাকায় যাবে। কলাকেন্দ্রের শিক্ষার্থী পিংকী সম্প্রতি বিটিভি’র নিয়মিত তালিকাভূক্ত নৃত্যশিল্পী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে। ২০০৭ সালে বৈশাখী টেলিভিশন আয়োজিত পদ্মকুঁড়ি প্রতিযোগিতায় সারাদেশে প্রথম হয়েছিলো এ কলাকেন্দ্রের সাবেক শিক্ষার্থী কৃপা। কৃপা বর্তমানে স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে নাচের ওপর ধ্রুপদী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

জেলার অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক সংগঠন আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের সভাপতি ইকবাল হোসেন এবং সম্পাদক হিসেবে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন রেবা সাহা। এ সংগঠনটি এখন খুলনা বিভাগের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।